প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২২ ডিসেম্বর : তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়ি সংলগ্ন বাঁশ বাগান থেকে উদ্ধার হল ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের বোহার ২ পঞ্চায়েতের কৃষ্ণবাটি গ্রামে । খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় । বাঁশ বাগানে বোমা পড়ে থাকার বিষয়ে নিশ্চিৎ হবার পরেই পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রেখে খবর দেয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে। বাঁশ বাগানে কারা বোমা রাখলো তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে। বুধবার বিকালে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌছে বোমা নিষ্কৃয় করে । বোহারের কৃষ্ণবাটি গ্রামের ২৭৮ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সরিফ মিঞার বাড়ির সামনের বাঁশ বাগানে কারা বোমা রেখেছিল তার তদন্ত মেমারি থানার পুলিশ শুরু করেছে ।
তৃণমূলের বুথ সভাপতি সরিফ মিঞার দাবি, তাঁকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করে কেউ তাঁর বাড়ির সামনের বাঁশ বাগানে ৫-৬ টি বেমা ব্যাগে ভরে ফেলে রেখে যায় । বোমা মজুত করার বিষয়ে পুলিশ প্রথমে তাঁকেই সন্দেশ করে । শুধু সন্দেহ করাই নয় ,পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাঁর ঘর ঢুকে মারধর করে ঘুম থেকে তোলে । সরিব মিঞা এও বলেন,’বোমার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে তিনি পুলিশকে বারবার জানানোর পরেও মারধর বন্ধ হয় নি । পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয় ।’ তাঁকে ফাসানোর চক্রান্তে চক্রান্তের পিছনে বিজেপির লোকজন রয়েছে বলে সরিফ মিঞা এদিন দাবি করেছেন ।
বোহার অঞ্চল তৃণমূলের নেতা শেখ ইউসুফ বলেন, ‘পুলিশ সরিফ মিঞা,মোমিন মুন্সি,তাজন মিঞা নামে দলের তিন জনকে রাতে ধরে নিয়ে গিয়েছিল । পরে খোঁজ খবর নিয়ে এই তিনজন নির্দোষ জানতে পাার পর পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয় ।’ কারা বাঁশ বাগানে বোমা রেখে থাকতে পারে সেই বিষয়ে যদিও তৃণমূল নেতা শেখ ইউশুফ স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি ।
মেমারির বিজেপি নেতৃত্ব যদিও দাবি করেছে, ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে । জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, ৫টি বোমা উদ্ধার হয়েছে । কারা কি উদ্দেশ্যো বোমাগুলি রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।।