এইদিন ওয়েবডেস্ক,হাওড়া,২০ ডিসেম্বর : ‘পিরিতে মজিলে মন কিবা……কিবা……’-হাওড়ার জেলার বালি থানা এলাকার নিশ্চিন্দার সাঁপুইপাড়ার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার ও রিয়া কর্মকার নামে দুই গৃহবধুর সৌজন্যে প্রাচীন এই প্রবাদের বাস্তব রুপ ফের একবার দেখলো গোটা বাংলা । শ্বশুরবাড়িতে নির্মানের কাজে আসা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা দুই যুবকের হাত ধরে তাঁরা পাড়ি দিলেন সুদুর মুম্বাইয়ে । প্রেমের টানে ত্যাগ করলেন সুখের সংসার । গত ১৫ ডিসেম্বর দুই বধু নিখোঁজ হওয়ার পর অবশেষে মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে তাঁদের হদিশ করল বালি থানার পুলিশ ।
জানা গেছে,মাস ছয়েক আগে নিশ্চিন্দায় দুই বধুর শ্বশুরবাড়ির বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সুভাষ ও শেখর নামে দুই যুবক । প্রথমে চোখে চোখে কথা । পরে বাড়ির পুরুষদের অনুপস্থিতির সুযোগে গড়ে ওঠে প্রেমালাপ । প্রায় ৬ মাস ধরে কর্মকার পরিবারের দুই জা মিলে দুই নির্মান শ্রমিকের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিলেন । শেষ পর্যন্ত সময় এসে যায় চার হাত এক করে নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার পালা ।
জানা গেছে,গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রীরামপুরে পোশাক কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন বড় বউ অনন্যা ও ছোট রিয়া । তাঁরা সঙ্গে নিয়ে যান অনন্যার ৭ বছরের ছেলে আয়ুষকেও । কিন্তু রাত হলেও তিন জনে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয় । দুই বধুর মোবাইল ফোনও অফ ছিল । এদিকে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে তাঁদের হদিশ করতে না পেরে পরের দিন পুলিশের দ্বারস্থ হন ।
পুলিশ সুত্রে খবর,দুই বধুর মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শ্রীরামপুরের রয় এমসি ভাদুড়ি লাহিড়ী স্ট্রিটে ছিল তাঁদের শেষ টাওয়ার লোকেশন । বধুদের কললিস্ট ধরে তদন্ত চালাতেই মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার বাসিন্দা জনৈক সুভাষ নামে ওই যুবকের সন্ধান পায় পুলিশ । এরপর এক সাথে দুই জায়ের নিখোঁজ হওয়ার রহস্যের উপর থেকে পর্দা ওঠে । এদিকে এক যুবকের সন্ধান পেতেই পুলিশ তার বাড়িতে হানা দিলে জানতে পারে ১৬ ডিসেম্বর সবাই মিলে এক জায়গাতেই ছিল । রাত কাটিয়ে পরের দিন তাঁরা মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন । এখন সুভাষের ফোনের সুত্র ধরে নিশ্চিন্দার আনন্দনগরের দুই গৃহবধূ এবং সাত বছরের শিশুর অবস্থান জানার চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে পুলিশ ।।