প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ ডিসেম্বর : জাল লটারির টিকিট বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি। ধৃতদের নাম মানিক বারিক ও তাপস রায়। ধৃতদের মধ্যে মানিকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পহলানপুরে মানিকের বাড়ি। অপর ধৃত তাপস মাধবডিহি থানারই ছোটবৈনানের বাসিন্দা । মাধবডিহি থানার পুলিশ শুক্রবার এলাকার বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়ে জাল লটারি টিকিট সহ মানিক ও তাপসকে হাতেনাতে ধরে । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লটারি টিকিট ক্রেতা ও বিক্রেতা মহলে ।
পুলিশ জানিয়েছে, তাপস ও মানিক বেশ কিছুদিন ধরে জাল লটারির টিকিট ও ঘষা টিকিট বিক্রি করছিল।তার কারণে আসল লটারি বিক্রেতাদের ক্ষতি হচ্ছিল।বিষয়টি নিয়ে লটারি বিক্রেতাদের সংগঠনের কর্মকর্তারা জেলার পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানান। পুলিশ সুপার বিষয়টি দেখার জন্য মাধবডিহি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপারের নির্দেশ মেনে মাধবডিহি থানার ওসি সুব্রত রেরা শুক্রবার সন্ধ্যায় পহলানপুর বাজারে থাকা মানিকের দোকানে হানা দেন । দোকান থেকে প্রচুর সংখ্যক জাল লটারির টিকিট ও ঘষা টিকিট উদ্ধার হয়। এরপর ওসি ছোটবৈনান কালীতলা বাজার এলাকায় তাপসের দোকানে হানা দিয়ে সেখান থেকেও জাল লটারি ও ঘষা লটারির টিকিট উদ্ধার করে । পুলিশের দাবি দুই ধৃতের কাছ থেকে মোট ১ হাজার ৪৬৭টি জাল লটারির টিকিট ও বেশকিছু ঘষা টিকিট বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়াও ধৃতদের কাছ থেকে টিকিট বিক্রির ৯ হাজার ৪৫০ টাকা মিলেছে বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জেনেছে, হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকার এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে তারা টিকিট এনে বিক্রি করছিল। এর সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানেছে। শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। আরও জাল টিকিট উদ্ধারের জন্য এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে ধৃতদের ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় তদন্তকারী অফিসার। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতদের ৩ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।।