দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৮ ডিসেম্বর : কিশোরীকে গনধর্ষনের অভিযোগে দ্বিতীয় অভিযুক্ত ফজল শেখকে (১৮) গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার পুলিশ । ধৃতের বাড়ি ভাতার থানার বলগোনা গ্রামে । শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় ।
ভাতার থানার পাটনা গ্রামে মামার বাড়িতে থাকে বছর সতেরোর ওই নির্যাতিতা কিশোরী । ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় । কিশোরীর দাদার পরিচিত বলগোনা গ্রামের বাসিন্দা সাহিরুদ্দিন শেখ শেখ (১৯) নামে এক টোটোচালক মেয়েটিকে ঘুরতে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে ফোন করে ডাকে । তারপর সাহিরুদ্দিন ও তার বন্ধু ফজল শেখ কিশোরীকে পাটনা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দুরে আমারুণ গ্রামের কাছে একটি নির্জন মাঠে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষন করে বলে অভিযোগ । ঘটনার পর মেয়েটিকে মাঠের মধ্যেই ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্তরা ।
দুই যুবকের পাশবিক অত্যাচারে মেয়েটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে । ওই অবস্থাতেই সে প্রায় ৭ কিমি পথ পায়ে হেঁটে ভাতারে আসে । স্থানীয় এক গ্রামবাসীকে ঘটনার কথা জানায় । পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার চিকিৎসার জন্য ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় । এরপর মেয়েটির মামা এনিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত টোটোচালক সাহিরুদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তবে অপর অভিযুক্ত ফজল শেখ ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় । শেষে শুক্রবার রাতে গোপন সুত্র থেকে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
জানা গেছে,মাস তিনেক আগেই বিয়ে হয়েছে ভাতার থানার বলগোনা গ্রামের বাসিন্দা ধৃত ফজল শেখের । সাহিরুদ্দিন শেখের পাশেই তার বাড়ি । দু’জনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব । ঘটনার আগে ভাতার বাজারে এসে মদ্যপান করেছিল ফজল । তারপর দুই বন্ধু মিলে কিশোরীকে গনধর্ষনের পরিকল্পনা করে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । এদিন ধৃতকে আদালতে তোলার পাশাপাশি নির্যাতিতা কিশোরীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় ।।