এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়া দিল্লি,১৮ ডিসেম্বর : নোভাভ্যাক্সের লাইসেন্সের অধীনে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া দ্বারা উৎপাদিত অ্যান্টি-কোভিড ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(The World Health Organisation) । শুক্রবার ডব্লিউএইচও কোভোভ্যাক্সের অনুমোদনের বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে জানায়,কোভোভ্যাক্স ডব্লিউএইচও-র সমস্ত পদ্ধতি মেনে চলে । পর্যালোচনায় এর গুণমান, নিরাপত্তা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ইত্যাদি নির্ভুল পাওয়া গেছে । ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের উৎপাদন সাইট পরিদর্শনও সন্তোষজনক ছিল । সেই সঙ্গে ডব্লিউএইচওর জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জরুরী ব্যবহারের তালিকাভূক্ত করার সঙ্গে যুক্ত টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ দেখেছে যে, কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমস্ত মান পূরণ করেছে ।
সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা এই বিষয়ে খুশি প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেন,’কোভোভ্যাক্স নিরাপত্তা এবং গুণমান উভয় দিক থেকেই অত্যন্ত উন্নত । উল্লেখযোগ্যভাবে কোভোভ্যাক্স হল ভারতের তৃতীয় ভ্যাকসিন, যা ডব্লিউএইচওর দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে । এর আগে কোভিশিল্ড(Covishield) এবং কোভ্যাকসিন (Covaccine) সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।’
প্রসঙ্গত,চলতি সপ্তাহের শুরুতে পুনাওয়ালা বলেছিলেন যে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া শিশুদের জন্য কোভোভ্যাক্স আকারে একটি ভ্যাকসিন চালু করতে চলেছে । তিনি বলেছিলেন, কোভোভ্যাক্সের ট্রায়াল চলছে । এটি ৩ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রেও সম্পূর্ণ কার্যকর । পুনাওয়ালার মতে, ট্রায়ালে উল্লেখযোগ্য সফলতা পাওয়া গেছে । তিনি আরও বলেন, কোভোভ্যাক্স শিশুদের করোনা থেকে রক্ষা করার জন্য যে উপযুক্ত তা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট তথ্য রয়েছে ।
উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড এবং অন্যান্য করোনা ভ্যাকসিন ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য । তবে ১৮-এর নিচে বয়সীদের জন্য এযাবৎ কোনও ভ্যাকসিন ছিল না । এখন কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন এসে যাওয়ায় করোনা নির্মুল করতে অনেক সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে । আদর পুনাওয়ালা ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করেছি । কোভোভ্যাক্স এখন জরুরী ব্যবহারের জন্য ডব্লিউএইচও থেকে অনুমোদন পেয়েছে । সহযোগিতার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ ।’।