দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৪ ডিসেম্বর : আটদিন ধরে নিখোঁজ গৃহবধূর পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল প্রতিবেশী ব্যক্তির অব্যবহৃত গোয়ালঘর থেকে । পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার খেড়ুর গ্রামের এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার নাম শীলা বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৩) । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা । তার জেরেই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
জানা গেছে,খেড়ুর গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে রয়েছে দেবাশীষ দাঁ নামে জনৈক এক গ্রামবাসীর গোয়ালঘরটি । তবে দেবাশীষবাবু গ্রামে থাকেন না । তিনি সপরিবারে বর্ধমানে বসবাস করেন । তাঁদের গোয়ালঘরটি তালাবন্ধ অবস্থাতেই থাকে । জ্বালানি কাঠ,মড়াই বাঁধার ‘বর’ প্রভৃতি টুকিটাকি রাখা থাকে গোয়ালের মধ্যে । এদিন সকালে এক গ্রামবাসী মড়াই বাঁধার বর বের করতে গিয়ে শীলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পচাগলা ঝুলন্ত দেহটি দেখতে পান । বিষয়টি তিনি প্রতিবেশী মৃতার স্বামীকে জানান । এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে,ওই গোয়ালঘরের অদূরেই বাড়ি শীলাদেবীদের । তাঁর বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ স্বামী অরুন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের একটি মেয়ে । মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে । অরুনবাবু জানিয়েছেন, আটদিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তাঁর স্ত্রী । তারপর থেকে তাঁর কোনও সন্ধান পাননি । স্থানীয়রা সুত্রে খবর, হতদরিদ্র পরিবার অরুনবাবুদের । অভাবের কারনেই শীলাদেবী হতাশায় ভুগতেন বলে অনুমান প্রতিবেশীদের ।।