এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভুবনেশ্বর,১১ ডিসেম্বর : করোনা পরিস্থিতির কারনে দীর্ঘ প্রায় ২ বছর ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ ৷ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই সম্প্রতি স্কুল কলেজগুলি খুলতে শুরু করেছে । কিন্তু একাদশ শ্রেণীর এক পড়ুয়ার অফলাইন ক্লাস একদমই পছন্দ হচ্ছিল না । তাই স্কুল বন্ধ করার জন্য সে এক ভয়ঙ্কর এক ষড়যন্ত্র করে বসে । নিজের সহপাঠীদের বোতলের জলে মিশিয়ে দেয় কীটনাশক । এর ফলে কোনও প্রাণহানীর ঘটনা না ঘটলেও ২০ জন পড়ুয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার বারগড় (Bargarh) জেলায় । এদিকে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই অভিযুক্ত পড়ুয়ার হাতে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ।
জানা গেছে,সম্প্রতি ওড়িশার বারগড় জেলায়
ভাটলি ব্লকের (Bhatli Block) একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে ২০ জন পড়ুয়াকে বমি,পায়খানার উপসর্গের কারনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । জানা গেছে, অসুস্থ পড়ুয়ারা প্রত্যেকেই স্কুলের হোস্টেলে থাকে । তাদেরই এক সহপাঠী হোস্টেলে রাখা পড়ুয়াদের পানীয় জলের বোতলে কীটনাশক মিশিয়ে দিত বলে অভিযোগ । সকলে যখন ক্লাস করত, তখনই সে চুপিসারে হোস্টেলে গিয়ে সহপাঠীদের জলের বোতলে কীটনাশক মিশিয়ে দিয়ে আসত । ফলে এতদিন বিষয়টি কারোর নজরে পড়ছিল না । কিন্তু সম্প্রতি হোস্টেলের এক কর্মী অভিযুক্ত পড়ুয়াকে জলের বোতলে কীটনাশক মেশানোর সময় হাতেনাতে ধরে ফেললে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । তারপর থেকে হোস্টেলের সমস্ত পড়ুয়াকে নিজের নিজের বোতল সঙ্গে রাখার জন্য নির্দেশ দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ । ২০ জন পড়ুয়ার অল্পবিস্তর শারিরীক সমস্যা দেখা দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রকার ঝুঁকি না নিয়ে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় ।
স্কুলের শিক্ষক রবি নারায়ণ সাহু বলেন, ‘কতজন শিক্ষার্থী কীটনাশকযুক্ত জল পান করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয় । তবে পর্যবেক্ষণে রাখা কোনও শিক্ষার্থীর মধ্যে শারিরীক সমস্যা দেখা যায়নি ।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এই মুহুর্তে স্কুলে ছুটি নেই । তাই স্কুল বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই এই চক্রান্ত করেছে বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্ত পড়ুয়া ৷।