প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ ডিসেম্বর : করোনা অতিমারীর সময়কালে জীবন বাজি রেখে কাজ করেও মিলছে না নেজ্য বেতন । এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করার পরেও ১ লক্ষ টাকা সহায়তা আশা কর্মিরা পায়নি । এইসব দাবি পূরণের দাবিতে বৃহস্পতির পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের আশা কর্মীরা । পাশাপাশি খণ্ডঘোষ ব্লকের বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এদিন দাবি সনদও জমা দেন আশা কর্মীরা। দাবি আদায়ের লক্ষে আশা কর্মীরা এইভাবে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে দেওয়ায় যথেষ্টই বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছেন শাসক দলের নেতা ও বিধায়করা ।
পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের জেলা নেত্রী
আসুরা বেগম বলেন, করোনা অতিমারির সময়ে আশা কর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাজ করেছেন । সংক্রমন ঠেকাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সতর্ক সচেতন যেমন করেছেন তেমনই আক্রান্তদের স্বাস্থ্য পরিষেবাও পৌঁছে দিয়েছেন । এত কিছুর পরেও তাঁদের বেতন বৃদ্ধি হয়নি । মুখ্যমন্ত্রী ঘোষনা করার পরেও হয় নি বেতন বৃদ্ধি ।এমনকি যে সমস্ত কর্মীরা কাজ করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে বলে ঘোষনা করা হলেও তা আজও পাননি খণ্ডঘোষের আশা কর্মীরা।এইসব দাবি পূরণের দাবি নিয়ে এদিন খণ্ডঘোষের আশা কর্মীরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে সংগঠনের জেলা নেত্রী দাবি করেছেন । আন্দোলনকারী আশা কর্মীরা এদিন খণ্ডঘোষ পাঠান পাড়া মোড় থেকে শুরু করে খণ্ডঘোষ হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। খণ্ডঘোষ হাসপাতাল মোড়ে বর্ধমান বাঁকুড়া রোড অবরোধ করেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখান । পুলিশ আশা কর্মীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলেদেয় । এরপর তাঁরা খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের কাছে ডেপুটেশন পত্র জমা দেন । পরে খন্ডঘোষ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অম্বরীশ বিশ্বাসের হাতেও ডেপুটেশন পত্র তাঁরা তুলে দেন ।
বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন, ‘আশা কর্মীদের দাবি দাওয়ার বিয়য়টি নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন ।’ একই কথা জানিয়েছেন খন্ডঘোষ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অম্বরীশ বিশ্বাসও ।।