দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৭ ডিসেম্বর : প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের এড়াল এড়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক এক শিক্ষিকা । এনিয়ে তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন । অভিযোগ জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কাছেও । অন্যদিকে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আউশগ্রাম থানায় পালটা গন অভিযোগ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা । এড়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে অভিযোগ-পালটা অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
জানা গেছে,এড়াল এড়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃত বিষয়ে শিক্ষকতা করেন অভিযোগকারিনী শিক্ষিকা । এদিন মঙ্গলবার তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ তুলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, জেলা শাসক, এডিএম(এডুকেশন), ডিআই (স্কুল) ও বর্ধমান উত্তর এসডিওর কাছে একটি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন ।
অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন,তাঁর বাড়ি বীরভুম জেলার বোলপুরে । দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এড়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন । স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিলন কুমার ভট্টাচার্য অনেকদিন ধরেই তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন । তাতে রাজি না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তাঁকে নানা ভাবে অপদস্ত ও হেনস্তা করে আসছেন । প্রায় ৪০ কিমি রাস্তা বাস-ট্রেনের ধকল সহ্য করে তাঁকে স্কুলে আসতে হয় । সকাল ৯ টায় স্কুলে পৌঁছে যান । কিন্তু তাঁকে সারাক্ষণ বসিয়ে রেখে বিকেল সাড়ে তিনটের সময় একটি ক্লাস দেন । তারপর সাড়ে চারটে পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন । কোনও কারনে স্কুলে পৌঁছাতে একটু দেরি হলে বা অনুপস্থিত থাকলে যৎসামান্য বেতন থেকে টাকা কেটে নেন । অথচ অন্যরা ওনাকে তোষামোদ করে চলে বলে তাঁদের অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দেন । শিক্ষিকার অভিযোগ,তাঁর ছয় বছরের একটি শিশুকন্যা আছে৷ অথচ তাঁকে ‘চাইল্ড কেয়ার লিভ’ দেওয়া হয়না । ক্যাজুয়াল লিভ ও মেডিক্যাল লিভ জমা হয় না । পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন, প্রধান শিক্ষক তাঁকে দেখার জন্য ও যৌন লালসা মেটানোর জন্য স্টাফরুমে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই শিক্ষিকা ।
অন্যদিকে এড়াল এড়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিলন ভট্টাচার্যের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছেন ওই শিক্ষিকা । তাঁর পালটা অভিযোগ, ‘ওই শিক্ষিকা ক্লাসে অযথা চেঁচামেচি করেন । কিছু বলতে গেলেই আমাদের ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ।’এর আগেও একজন প্রবীণ সহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষিকা এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন বলে দাবি করেছেন মিলনবাবু
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এনিয়ে আউশগ্রাম থানাতে গন অভিযোগ জানানো হয়েছে । জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ।।