প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৫ ডিসেম্বর : নতুন ধান ঘরে তোলার পর রাঢ়বঙ্গের কৃষিজীবী মানুষজন ঘটা করে পালন করেন নবান্ন উৎসব । রবিবার বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে নবান্নের পুজো পাঠের মধ্য দিয়ে রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানে সূচনা হল নবান্ন উৎসবের । কথিত আছে, বর্ধমানের রাজা তেজচাঁদের আমল থেকে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে হয়ে আসছে নবান্ন উৎসব পালন ।
বর্ধমান সহ রাঢ়বঙ্গের অন্যতম তীর্থস্থান সর্বমঙ্গলা মন্দির । এখানে দেবী সর্বমঙ্গলা রূপে পূজিতা হন ।যখন এই মন্দিr প্রতিষ্ঠা হয়নি তখন প্রচারিতও হয়নি দেবীর মাহাত্ম্য । কথিত আছে জেলেনীরা নাকি মাছ ধরে ফেরার পথে এই মূর্তির উপরেই গুগলি-শামুক ভাঙতেন। তখন মূর্তিটির বিষয়ে তাঁদের মনে তেমন কোনও প্রশ্ন জাগেনি । তবে এই খবর রাজা তেজচাঁদর কানে যায়। তিনি মূর্তিটি উদ্ধার করেন এবং মন্দির গড়ে সেখানে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেন।সেই থেকেই সর্বমঙ্গলাদেবীর মাহাত্ম্য প্রচারিত হয়। স্বয়ং রামকৃষ্ণও এ মন্দিরে এসেছেন বলে কথিত আছে।
মন্দির ট্রাস্টের সম্পাদক সঞ্জয় ঘোষ জানান,
নতুন আমন ধান ঘরে তোলার পর রাঢ়বঙ্গের
চাষিরা যে বিশেষ পুজোপাঠ ও উৎসবে মাতোয়ারা হন তার নামই ’নবান্ন,। “নবান্ন” শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন”। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চাল দেবতাকে অর্পণ করার পর প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে নবান্ন উৎসব পালন হবার পর গোটা রাঢ়বঙ্গে নবান্নের সূচনা হল।।