শ্যামসুন্দর ঘোষ,মেমারী(পূর্ব বর্ধমান),০৩ ডিসেম্বর : মদ্যপ অবস্থায় গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক আদিবাসী যুবক । শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারী থানা এলাকার বড়পলাশন গ্ৰামে । যদিও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় সুরেশ মুর্মু (২৮) নামে ওই যুবক প্রাণে বেঁচে যায় । বর্তমানে তিনি পাহাড়হাটি ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তবে হঠাৎ কেন সে এই কান্ড ঘটিয়ে বসল এনিয়ে ধন্দ্বে পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,পেশায় খেতমজুর সুরেশ মুর্মু বিবাহিত । সস্ত্রীক সে বড়পলাশন ২ পঞ্চায়েতের বড়পলাশন গ্ৰামে দিদির বাড়িতে থাকতো । মাটির দেওয়াল অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া দু’কামরার বাড়ি রয়েছে সুরেশের দিদির । একটি ঘরে থাকে সুরেশ । অন্যটিতে দিদি ও জামাইবাবু থাকে । পাশেই অন্যত্র থাকে সুরেশের ভাই কৃষাণ ।
কৃষাণ বলেন, ‘প্রতিদিনের মতই এদিনও মাঠে ধান কাটার কাজে গিয়েছিল আমার দাদা সুরেশ ৷ কিন্তু সকাল প্রায় ১১ টা নাগাদ সে বাড়ি ফিরে আসে । দাদা তখন মদ্যপ অবস্থায় ছিল । তারপর আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই দাদা নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ।’
জানা গেছে,আগুন ধরানোর সঙ্গে সঙ্গেই সুরেশের পোশাক দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে । আগুনে দগ্ধ হওয়ার যন্ত্রনায় সে ছুটে বেড়াতে শুরু করে । তখন প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে একটি পুকুরের জলে ঠেলে ফেলে দেয় । তারপর স্থানীয়রা ওই যুবককে পুকুরের জল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । যুবকের মুখ,দু’হাত পুড়ে গেছে । তবে অবস্থা খুব একটা গুরুতর নয় বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,কয়েক দিন ধরেই বাপের বাড়িতেই রয়েছেন সুরেশ মুর্মুর স্ত্রী । স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তির কারনেই ওই যুবক মদ্যপবস্থায় এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে বলে অনুমান স্থানীয়দের একাংশের ।।