প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০২ নভেম্বর : চুরিতে বিরাম পড়ছে না শহর বর্ধমানে।গত ছয় মাস ধরে শহর বর্ধমানের একাধীক বাড়িতে ঘটে চলেছে চুরির ঘটনা । যা নিয়ে নাজেহাল পুলিশ কর্তারা । এই অবস্থায় চুরি নিয়ে সচেতনতার পাঠ দিতে বৃহস্পতিবার শহরের কেষ্টপুর এলাকার বাসিন্দাদের একেবারে দুয়ারে পৌছে গেলেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী।বাসিন্দারা পুলিশের দেওয়া পাঠ শুনলেনও মনদিয়ে।তবে এতকিছুর পরেও পুলিশ কি শহর বর্ধমানে চোরেদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে পারবে! এই প্রশ্নেরই উত্তর হাতরে বেড়াচ্ছেন বর্ধমান শহরবাসী ।
বর্ধমান শহরে চুরির ঘটনা বেড়ে চলায় কয়েকদিন আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ অ্যাপ চালু করা হয় । কিন্তু তাতে কাজের কাজ বিশেষ কিছু হয় নি বলে মনে করছেন বর্ধমান শহরবাসী । কারণ আ্যাপ চালুর পরেও চোরেরা সূযোগ বুঝে গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে পালানোর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি । চুরি বেড়ে চলায় পুলিশ গৃহস্থের বাড়ির ভাড়াটিয়াদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গুরুত্ব আরোপ করেছে। আই সি সুখময় চক্রবর্তী এদিন মাইক হাতে নিয়ে শহরের বাসিন্দাদের তিনদিনের মধ্যে থানা থেকে একটি ফর্ম আনতে বলেন ।এও বলেন এই ফর্মের কোনো মূল্য লাগবে না। ওই ফর্ম পুরণ করে তারসাথে প্রতি ভাড়াটিয়ার আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য পরিচয়পত্র তার সাথে জমা করতে হবে। একইভাবে বাড়ির মালিকেরও সব তথ্য থানায় জমা দেবার কথা তিনি ঘোষনা করেন । জানা গিয়েছে ,পুলিশ ওইসব তথ্য খতিয়ে দেখবে কারার নামে কোনো ক্রাইম রেকর্ড আছে কী না। নতুন ভাড়াটিয়া বসাবার আগে এই ফর্ম জমা দিয়ে থানার অনুমতি নিতে হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। এই ফলে দুপক্ষই সুরক্ষিত থাকবে বলে মনে করছে পুলিশ ।।