এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০১ ডিসেম্বর : ফের কেপমারির ঘটনা ঘটল মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । এবারে হাসপাতালের শৌচাগারের ভেতর থেকে দুই রোগীর আত্মীয়ার ব্যাগ থেকে টাকা বের করে পালালো দুষ্কৃতিরা । বুধবার দুপুরে এক সঙ্গে জোড়া কেপমারির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে । টাকা খোওয়া যাওয়ার পর হতদরিদ্র পরিবারের ওই দুই মহিলা কান্নায় ভেঙে পড়েন । শেষে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে দুই মহিলাকে আর্থিক সাহায্য করেন । এদিকে এই ঘটনা ঘিরে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয় । হাসপাতালের শৌচাগারের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দাবি তুলেছেন রোগীর আত্মীয় পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক থানার শেরশাহী গ্রামের বাসিন্দা আকবর মোমিন নামে জনৈক এক বৃদ্ধ গত সোমবার বাড়িতে সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হন । তাঁর এক দিক পক্ষাঘাত গ্রস্ত হয়ে যায় । ওই বৃদ্ধকে তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । স্বামীর দেখাশোনার জন্য হাসপাতালেই রয়ে গেছেন বৃদ্ধের স্ত্রী আয়রা বিবি ।
আয়রা বিবি জানান, এদিন দুপুরে তিনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন । সঙ্গে ছিল একটি থলি । ওই থলির মধ্যে ছিল খরচ খরচার জন্য ছেলের দেওয়া ৫ হাজার টাকা ও তাঁর মোবাইল ফোনটি । তিনি শৌচাগার থেকে বেড়িয়ে এসে পাশেই ট্যাপ কলে পোশাক কাচচ্ছিলেন । পাশেই ছিল তাঁর ওই থলিটি । তিনি বলেন, ‘সেই সময় এক মহিলার কান্নাকাটি শুনতে পাই । জানতে পারি ওই মহিলা প্রসুতি বিভাগের এক রোগিনীর আত্মীয়া । তিনি যখন শৌচাগারে গিয়েছিলেন সেই সময় তাঁর ব্যাগ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা চুরি হয়ে যায় । তখন আমি কাপড় কাচা ছেড়ে নিজের ব্যাগটা পরীক্ষা করি । দেখি আমারও ৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে ।’
জানা গেছে,দুই মহিলাই হতদরিদ্র পরিবারের । রোগীর চিকিৎসা ও নিজেদের খাওয়া দাওয়ার খরচ খরচার জন্য তাঁরা যৎসামান্য টাকা পয়সা সঙ্গে করে এনেছিলেন । সেই টাকা খোওয়া যাওয়ার পর তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েন ৷ যদিও হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ কর্মীরা তাঁদের আশ্বস্ত করেন,খুব দ্রুত চুরির কিনারা হবে । পাশাপাশি দুই মহিলাকে কিছু আর্থিক সাহায্য করেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা । এরপর কেপমারির শিকার দুই মহিলা শান্ত হন ।।