এইদিন ওয়েবডেস্ক,গ্রেটার নয়ডা,৩০ নভেম্বর : ছেলের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মহিলা । কিন্তু প্রেমিক বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও পিছু হঠে । বিয়ে করে নেয় অন্য এক মহিলার সঙ্গে । তাই প্রতিশোধ নিতে প্রেমিককে খুন করার জন্য চার লাখ টাকায় দুই সুপারি কিলার নিয়োগ করেছিলেন ওই নারী । খুনের ব্লু-প্রিন্টও তৈরি ছিল । কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় এযাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেল প্রেমিক । পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল প্রেমিকা । ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের রাজ নগর এক্সটেনশনের এলাকার । মঙ্গলবার বিকেলে প্রমীলা নামে ওই মহিলাকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের জিরো পয়েন্টের কাছে গ্রেটার নয়ডার বিটা-২ কোতোয়ালি পুলিশ গ্রেফতার করে । তবে বেগতিক বুঝে পুলিশ আসার আগেই চম্পট দেয় দুই সুপারি কিলার । পুলিশ তাদের সন্ধান চালাচ্ছে ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,গাজিয়াবাদের রাজনগর এক্সটেনশনে শ্বশুরবাড়ি প্রমীলাদেবীর । জৌনপুরের বাসিন্দা জনৈক অঙ্কুর নামে এক যুবক ওই মহিলার ছেলেকে বাড়িতে গিয়ে টিউশন পড়াতেন । সেই সুত্রে দু’জনের পরিচয় । ক্রমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । প্রায় ১০ বছর ধরে ছাত্রের মায়ের সঙ্গে প্রেম চালিয়ে গিয়েছিল অঙ্কুর । মহিলাকে সে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ । এদিকে প্রেমিককে বিয়ে করতে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন প্রমীলাদেবী । এদিকে অঙ্কুর অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে করে । আর এই কথা কানে যাওয়ার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অঙ্কুরের ছাত্রের মা । ওই মহিলা তাঁর প্রেমিককে খুনের পরিকল্পনাও করে ফেলেন ।
জানা গেছে,প্রেমিককে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চার লাখ টাকায় দুই সুপারি কিলারের সঙ্গে রফা করেন প্রমীলাদেবী । এদিন বিকেলে তিনি গাজিয়াবাদের রাজ নগর এক্সটেনশন থেকে জৌনপুরে যাচ্ছিলেন প্রেমিককে খতম করতে । তারপর যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের জিরো পয়েন্টে দুই সুপারি কিলারের জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন । ইতিমধ্যে সেখানে পৌঁছে যায় গ্রেটার নয়ডার বিটা-২ কোতোয়ালি পুলিশ । পুলিশকে দেখে সুপারি কিলারয়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যান প্রেমিককে খুনের ষড়যন্ত্রকারী মহিলা ।।
ছবি : ট্যুইটার থেকে সংগৃহীত ।