এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,৩০ নভেম্বর : ভূমি ও ভূমিসংস্কার দপ্তর,উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের তরফ থেকে বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী এলাকায় বসবাসকারী উদ্বাস্তু কলোনীর মানুষদের নিঃশর্ত দলিল বিতরন করা হল । মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর মহাকুমা শাসকের কার্যালয়ে ৪২ টি পরিবারের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হল জমির পাট্টা । উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত,বিষ্ণুপুর বিধানসভার বিধায়ক তন্ময় ঘোষসহ বাঁকুড়া জেলা পরিষদ ও বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা ।
প্রসঙ্গত,১৯৭১ সালের আগে পাকিস্থানের সেনার অত্যাচার থেকে বাঁচতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান অধুনা বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ ভিটে মাটি ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নেন । ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁরা বসবাস করতে শুরু করেন । তবে সিংহভাগ বাস্তুচ্যুত মানুষ তখন থেকেই পশ্চিমবঙ্গেই বসবাস করছেন । এই সমস্ত মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ভিটে ও কৃষিজমি বিতরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার ।
বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, ‘মহকুমা জুড়ে উদ্বাস্তু কলোনীর মানুষদের নিঃশর্ত দলিল দেওয়ার প্রক্রিয়া বিগত ৮-১০ বছর ধরে জোর কদমে চলছে ৷ ইতিমধ্যে ৩৭৮৩ জন মানুষকে নিঃশর্ত দলিল দেওয়া হয়েছে । এদিন সোনামুখী ব্লকের অমৃত পাড়া বেসিয়া জবরদখল উদ্বাস্তু কলোনোর ২৮ জনকে এবং বিষ্ণুপুরের বাসুদেবপুর এক্স ক্যাম্প সাইড কলোনীর ১৪ জনের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হল । এলাকার উদ্বাস্তু কলোনীর সিংহভাগ মানুষকে নিঃশর্ত দলিল দেওয়া হয়ে গেছে । কেবল ১২ জন বাকি আছেন । তাঁদের দলিল দেওয়ার জন্য জায়গা চয়নের প্রক্রিয়া চলছে । আশা করছি খুব দ্রুত তাঁদের দলিল হস্তান্তর করতে পারবো ।’
পাশাপাশি তিনি জানান, যে সমস্ত পরিবারগুলি ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে এসে এখানকার উদ্বাস্তু কলোনীতে বসবাস করছেন তাঁদেরই মূলত পাট্টা দেওয়া হচ্ছে । এদিন
সোনামুখীর ২৮ টি পরিবারের মধ্যে ১ একর ৯৯ শতক বাস্তু ও ১১ একর ১৯ শতক কৃষিজমি বিতরন করা হল । বিষ্ণুপুরের ১৪ টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে মোট ১ একর ৫৫ শতক বাস্তু ও ৭ একর ৬৩ শতক কৃষিজমি ।।