এইদিন ওয়েবডেস্ক,রিয়াধ,১৮ ডিসেম্বর : ভারতের ‘প্রিয়’ প্রতিবেশী পাকিস্তান প্রায়ই তার কর্মকাণ্ডের জন্য খবরে থাকে। কখনো কখনো গাধা রপ্তানি করে এ দেশ তার অর্থনীতি বাঁচায়। কখনও কখনও সন্ত্রাস রপ্তানি করে ভারতকে সমস্যায় ফেলে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল আরও একটি নাম, তা হল পাকিস্তানের ভিক্ষুক উৎপাদন । উপসাগরীয় দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব এতটাই পাকিস্তানি ভিখারিতে ভরে গেছে যে তারা পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিতে বাধ্য হয়েছে। বলেছেন, পাকিস্তান ভিক্ষুক পাঠানো বন্ধ না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রিয়াধ । এনিয়ে যখন আরব দেশগুলো থেকে তিরস্কার করা হচ্ছে, তখন পাকিস্তানের মাথায় আরও একটা কলঙ্ক জুড়ে গেছে । সরকার তাৎক্ষণিকভাবে তৎপর হয়ে দেশের ৪৩০০ ভিক্ষুকের নাম এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে (ইসিএল) রেখে দিয়েছে । অর্থাৎ তারা হজ ও ওমরার অজুহাতে এখন আর দেশের বাইরে যেতে পারবে না ।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রাজা নকভি আজ বুধবার(১৮ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসের বিন আবদুল আজিজ আল দাউদকে জানিয়েছেন যে পাকিস্তান মাফিয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে যা সৌদি আরবে ভিক্ষুক পাঠানোর জন্য দায়ী। পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডন বলেছে যে পাকিস্তান সরকার বলেছে যে তারা ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে।
পাকিস্তানের মানুষ সৌদি আরবে ভিক্ষা করা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা এবং জেদ্দায় এটি খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার মানুষ বাঁচার পথ খুঁজে পেয়েছে মক্কার ভিক্ষার মাধ্যমে । সৌদি আরবের মতো পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোতে হজ যাত্রার অজুহাতে পাকিস্তান থেকে লোকজন প্রবেশ করে। যেহেতু মক্কা ও মদিনাকে ইসলামের পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেহেতু তারা দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় না। হজ ও ওমরার বাহানায় সৌদি আরবে প্রবেশের পর ভিক্ষা শুরু করে পাকিস্তানিরা ।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মক্কার মসজিদ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পকেটমারদের ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি। এবং এই বিবৃতিটি ২০২৩ সালে পাকিস্তানের ওভারসিজ সেক্রেটারি জিশান খানজাদা দিয়েছিলেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী সেখানে ভিক্ষা করা অপরাধের আওতায় আসে। সৌদি আরবে ভিক্ষা, সমর্থন বা সাহায্য করার জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। এমন যে, বিপুল সংখ্যক পাকিস্তানি ভিক্ষুক সৌদি কারাগারে বন্দি । সৌদি আরব পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেছে, ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রণ না করলে পাকিস্তান থেকে হজ ও ওমরাহ করতে যাওয়া তীর্থযাত্রীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই পাকিস্তান ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ‘ভিক্ষা মাফিয়া’ এবং ভিক্ষুকদের বিরুদ্ধে দমন শুরু করেছে ।।