শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২২ ডিসেম্বর : রাতের অন্ধকারে সাবমার্সিবল পাম্পে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ৯ টি ট্রান্সফরমার থেকে যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতিরা । ফলে প্রায় ৩০ টি সাবমার্সিবল পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে । এদিকে আমন ধান তোলার পাশাপাশি বোরো চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকরা । কিন্তু চাষের ঠিক মুখেই সাবমার্সিবল পাম্পগুলি অকেজো হয়ে যাওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়ে গেছেন । চুরির ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের ঘোলদা গ্রাম ও আউশগ্রামের কয়রাপুর গ্রামে । বুধবার ভাতার বিদ্যুৎ অফিসে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ঘোলদা গ্রামের কৃষকরা । পাশাপাশি কয়রাপুর গ্রামের কৃষকরা আউশগ্রাম থানাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ভাতার-আউশগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে ঘোলদা ও কয়রাপুর গ্রাম । ওই দুই গ্রামের মাঠে রয়েছে ৯ টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার । ট্রান্সফরমারগুলি থেকে মাঠের প্রায় ৩০ টি সাবমার্সিবল পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে । এলাকার প্রায় তিন শতাধিক কৃষক জমিতে সেচের জন্য ওই সাবমার্সিবলগুলির উপর নির্ভরশীল । বোরো ধান চাষের পাশাপাশি আলু,পিঁয়াজ, সর্ষে ও বিভিন্ন শব্জির চাষ করেন কৃষকরা ।
মঙ্গলবার কৃষকদের নজরে পড়ে ট্রান্সফরমারগুলির ইনসুলেটর, ফ্রেক্সিবল কর্ড নেই । এমনি ট্রান্সফরমার থেকে তেল পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতিরা । স্থানীয় কৃষক শেখ নাজেম, আবু সিদ্দিকরা বলেন, ‘সবে বোরো চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম । কিন্তু ট্রান্সফরমারগুলির যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাওয়ায় আদপেই আর বোরো চাষ করতে পারবো কিনা জানি না । এছাড়া যারা ইতিমধ্যে অনান্য চাষ করেছেন তাঁরা সমূহ ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন ।’
জানা গেছে,বুধবার আউশগ্রামের কয়রাপুর গ্রামের কৃষকরা পুলিশের দ্বারস্থ হন । এদিকে ভাতারের ঘোলদা গ্রামের কৃষকরা এদিন বিদ্যুৎ অফিসে এসে বিষয়টি জানান । অভিযোগ পেতেই সরেজমিন তদন্তে যায় বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিনিধিদল । ভাতার বিদ্যুৎ অফিসের স্টেশন ম্যানেজার মিঠুন মজুমদার বলেন, ‘ভাতার থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে । পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।’ পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ভাতার বিদ্যুৎ অফিসের স্টেশন ম্যানেজার ।।