এইদিন ওয়েবডেস্ক,লক্ষ্মীপুর,০৯ মার্চ : স্বামীকে শিকলে বেঁধে স্ত্রীকে গনধর্ষণ করল ৯ ব্যক্তি । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চররমনী গ্রামের বনফুল ব্রিকস এন্ড কোম্পানিতে (বিবিসি) । মঙ্গলবারে রাতে ঘটে যাওয়া পাশবিক অত্যাচারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনার কথা পুলিশকে জানায় নির্যাততা মহিলা । পরে এদিন বিকেলে সদর মডেল থানায় গিয়ে জামাল,নিজাম ও দিনাজসহ ৯ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ।
জানা গেছে,নির্যাতিতার স্বামী চট্টগ্রামের আজিমপাড়া এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতেন । জনৈক এক পরিচিত একজনের সঙ্গে মাস তিনেক আগে তিনি লক্ষ্মীপুরের ওই ইটভাটায় কাজে লাগেন । তিনদিন আগে ভাটায় কাজ ঠিক করে দেওয়া ব্যক্তি পালিয়ে যায় । নির্যাতিতার স্বামী জানান,গত মঙ্গলবার জামাল,নিজাম ও দিনাজ ইটভাটায় এসে ওই ব্যক্তির খোঁজ করে । কিন্তু তিনি ব্যক্তির কোনো সন্ধান দিতে না পারায় তিনজন মিলে তাকে শিকলে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে । এদিকে অনেক রাত পর্যন্ত তিনি বাড়ি না ফেরায় তার স্ত্রী খোঁজ করতে ইটভাটায় আসে । তিনি বলেন, ‘তখন ইটভাটার মালিক আমার স্ত্রীকে জানায় আমি তার কাছে নাকি অনেক টাকা অগ্রিম নিয়ে রেখেছি । সেই টাকা মেটানো না পর্যন্ত আমায় ছাড়া হবে না । এমনকি টাকার পরিবর্তে ইঁট ভাটার মালিকসহ উপস্থিত সকলের সঙ্গে শারিরীক মিলনের জন্য আমার স্ত্রীকে প্রস্থাব দেয় ওরা । এই নোংরা প্রস্তাব শুনে আমার স্ত্রী বাড়ি ফিরে যায় ।’
নির্যাতিতা বধুর অভিযোগ,’আমি বাড়ি ফিরে আসার পর ওই দিন গভীর রাতে জামাল,নিজাম ও মিনাজ ঘরে ঢুকে আমায় একের পর এক গনধর্ষণ করে । তারা চলে গেলে আরও ছয়জন এসে আমায় উপর্যুপরি গনধর্ষণ করে । এমনকি তারা আমার ডান হাতে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছ্যাঁকাও দেয় ।’ মহিলা জানান,তার স্বামী কোনো টাকা নেননি । তাকে গণধর্ষণের উদ্দেশ্যেই ইঁট ভাটার মালিক অগ্রিম টাকা নেওয়ার অজুহাত দেখাচ্ছে ।
জানা গেছে,মহিলা প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘটনার কথা জানান । পরে স্থানীয়দের পরামর্শে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইঁট ভাটায় গিয়ে তার স্বামীকে শিকল মুক্ত করে উদ্ধার করে । সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মোসলেহ উদ্দিন বলেন,’নির্যাতিতার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল পাঠানো হয়েছে । তারা ফিরে এসে রিপোর্ট দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’ কিন্তু গণধর্ষণের অভিযোগের পরেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা ।।