এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজকোট(গুজরাট),০৪ জানুয়ারী : ওয়াকফ সম্পত্তি দাবি করে হিন্দুদের দোকানের মালপত্র রাস্তায় ফেলে দেওয়া ফারুক মুসানিসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গুজরাটের রাজকোটের পুলিশ । এই মামলায় পুলিশের পদক্ষেপের তথ্য দিয়ে গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি বলেছেন, যে ওই সমস্ত দোকানগুলি ফের খোলা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করছে এবং ওয়াকফ বোর্ডের আদেশের বৈধতাও পরীক্ষা করা হচ্ছে। মন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা ছবিতে অভিযুক্ত ফারুক ও তার সহযোগীদের দেখা যাচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, দোকানদার বীরেন্দ্রভাই কোটেচা ফারুক মুসানি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন । তার অভিযোগ যে আক্রমণটি হঠাৎ করা হয়েছিল, কোনো পূর্ব তথ্য বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই। কোটেচা বলেন, ওয়াকফ বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী দখলের জন্য তিন মাসের নোটিশ দেওয়া হয়, কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা হয়নি। ফারুক মুসানি গত ১৯ ডিসেম্বর একটি কথিত আদেশ দেখায় এবং এর ভিত্তিতে দোকানগুলি থেকে সমস্ত মালপত্র রাস্তায় ফেলে দিয়ে দোকানগিলি দখল করে নেয় ।
এই ঘটনাটি ঘটে গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে, যখন ফারুক মুসানির নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল রাজকোটের পুরানো দানপীঠ এলাকায় দুটি দোকানের তালা ভেঙে মালপত্র রাস্তায় ফেলে দেয়। এই সময়,সে দাবি করেছিল যে এই দোকানগুলি ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি এবং তাদের খালি করতে হবে। অন্যদিকে হিন্দু দোকানদাররা স্পষ্ট করেছেন যে এই দোকানগুলি কয়েক দশক ধরে লিজে নেওয়া হয়েছে এবং এই জমিটি আসলে পিডবলুডি বিভাগের, ওয়াকফ বোর্ডের নয়। দোকানদাররা ওয়াকফ বোর্ডের নামে সংঘটিত এই গুণ্ডামি থেকে সুরক্ষা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছিল, তারপরে প্রশাসন সক্রিয় হয়ে ওই হিন্দু দোকানদারদের দোকানের দখল ফিরিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।