এইদিন ওয়েবডেস্ক,চট্টগ্রাম,২১ সেপ্টেম্বর : পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান — তিন পার্বত্য জেলা জুড়ে এই অবরোধ চলবে আগামী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত । শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, বাঙালি মুসলিমরা পাহাড়িদের দোকানপাট ও ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, হত্যা, ঘরবাড়ি ও উপাসনালয়ে অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। এক বিবৃতিতে দলটি এই সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। ইউপিডিএফের সহ-সভাপতি নতুন কুমার চাকমা খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সংঘটিত হামলাকে বর্বরোচিত ও নিন্দনীয় বলে অভিহিত করে বলেন, ‘উপাত্যের জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর এমন বর্বর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জনগোষ্ঠীর ওপর অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে। কিন্তু, এসব ঘটনার কোনোটিরই সুষ্ঠু বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি।
নতুন কুমার চাকমা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, ‘পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন সংঘাত ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে’ শ্লোগানে শুক্রবার দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত,শেখ হাসিনার শাসনকালের আগে থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে সুপরিকল্পিতভাবে জনবিন্যাসের পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র শুরু হয় । সরকারি এবং হিন্দু-বৌদ্ধ চাকমা সম্প্রদায়ের জমিজায়গা দখল করে বসবাস শুরু করে বাঙালি মুসলিমরা । বর্তমানে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে । শান্তিপ্রিয় চাকমাদের যেকারণে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে ।।