এইদিন ওয়েবডেস্ক,সুরাট,২৮ অক্টোবর : গুজরাটের সুরাটে একই পরিবারের তিন শিশুসহ ৭ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে সুরাটের পালানপুর জাকাতনাক রোড এলাকায় । শনিবার সকালে এক ব্যক্তিকে ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা । ওই ঘরেই দেখতে পাওয়া যায় তিন শিশুসহ বাকি ৬ জনের নিথর দেহ । মৃতরা হলেন মণীশ সোলাঙ্কি, তাঁর স্ত্রী রীতা, তাঁর বাবা কানু, তাঁর মা শোভা এবং তিন সন্তান – দিশা, কাব্য এবং কুশল । পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বিষপানে একজন মণীশ সোলাঙ্কি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন । এদিকে একই পরিবারের ৭ সদস্যের গণআত্মহত্যার পর মানুষের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন । সবাই মৃত্যুর কারণ জানতে চাইছে । কিন্তু এই গণআত্মহত্যার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে ।তবে জানা গেছে যে বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে পুলিশ। চিঠিতে মণীশ সোলাঙ্কি কিছু অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন ।
জানা গেছে, মণীশ সোলাঙ্কি আসবাবপত্রের ব্যবসা করতেন । তাঁর অধীনে প্রায় ৩৫ জন কাঠমিস্ত্রি এবং শ্রমিক কাজ করছিলেন । আজ অনেক বেলা পর্যন্ত মণীশ সোলাঙ্কি কর্মস্থলে না এলে কর্মীরা তাঁকে প্রথমে ফোন করেন । কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় সকল কর্মীরা মালিকের বাড়িতে ছুটে যান । কিন্তু বাড়ির সদর দরজা বন্ধ থাকায় তারা প্রতিবেশীদের ডেকে এনে পিছনের জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে । আর তখনই তারা মণীশ সোলাঙ্কিকে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের নিথর দেহগুলি ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে । পরে খনর পেয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ ।।