এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগনা,০১ এপ্রিল : দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মোট ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৬, ৪ ও ৮ মাসের তিন শিশু। মৃত্যু হয়েছে ১১ বছরের এক কিশোরের । বিস্ফোরণ এতটাই তীব্র ছিল যে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় শিশুদের দেহ । উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদের একাংশ। সিলিং থেকে খসে পড়েছে বড় চাঙড় । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ির যাবতীয় সামগ্রী । এদিকে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ব্যার্থতাকে দায়ি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
জানা গেছে,সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঢোলাহাট থানার ঘেরি এলাকা প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে । কেউ বলছেন সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটেছে । আবার কেউ বলছেন, পরিত্যক্ত বাজি থেকেই বিস্ফোরণ । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামের বাসিন্দা দুই ভাই মিলে ৮-১০ বছর ধরে অবৈধ বাজি কারখানা চালাচ্ছিলেন । পুলিশ প্রশাসন সবই জানত । ঘটনার পর থেকে দুই ভাইয়ের কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। তারা আহত অবস্থায় কোনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কি না, তা স্পষ্ট নয়। এখনো নিখোঁজ চারজন । তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ‘অপরিশোধিত বোমা তৈরির কারখানায়’ এই বিস্ফোরণ ঘটেছে । তিনি এক্স-এ কয়েকটা ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা থেকে ভয়াবহ খবর – একটি অপরিশোধিত বোমা তৈরির কারখানায় আরেকটি বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কল্যাণীতে ৪ জন মূল্যবান প্রাণ হারানোর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমায় ।’ তিনি আরও লিখেছেন,’ভূপতিনগর, এগরা, বজবজ, কল্যাণী, তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আর কত ট্র্যাজেডি ঘটবে? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কেন অপরিশোধিত বোমার স্তূপের উপর বসে আছে তার উত্তর দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি কে । আগামীকাল, সম্ভবত নিহতদের আত্মীয়দের জন্য ২ লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হবে এবং এক সপ্তাহ পরে মানুষ পরবর্তী খবরে যাবে, এই ঘটনাটি ভুলে যাবে, যতক্ষণ না পরবর্তী ট্র্যাজেডি ঘটে। পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনার জন্য কোনও জবাবদিহিতা নেই। এটি ঘটতে দেওয়ার জন্য অদক্ষ পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করা উচিত।’।
.