এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ জুলাই : পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের জোয়ার আসে ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের শাসনকালে । সেই সময়েই অবিভক্ত বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে গড়ে ওঠে শিল্প নগরী । আজকের আধুনিক শহর দুর্গাপুরের রূপকার বলে মনে করা হয় বিধানচন্দ্র রায়কে। কিন্তু এরাজ্যে বামপন্থীরা ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই বঙ্গে শিল্পায়নের ভাটা পড়তে শুরু করে । ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে শিল্পায়ন গড়তে প্রতিবছর ঘটা করে “বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলন” করে আসছে । কিন্তু বঙ্গের শিল্পায়নের রাহুর দশা কাটেনি, উলটে আরও অবনতি হয়েছে ! বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্যর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিগত ১৪ বছরে ৬৬৮৮টি কোম্পানি বাংলা ছেড়ে পালিয়েছে ।
বঙ্গের শিল্পায়নের বেহাল অবস্থা নিয়ে গতকাল এক্স হ্যান্ডেলে একটা বড়সড় পোস্ট করেছেন অমিত মালব্য । যার শিরোনাম দিয়েছেন,’গত ১৪ বছরে ৬৬৮৮টি কোম্পানি পশ্চিমবঙ্গ ছেড়েছে !’ তিনি লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অধীনে, ৬৬৮৮টি কোম্পানি ১ এপ্রিল, ২০১১ থেকে ৩১ মার্চ, ২০২৫ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের নিবন্ধিত অফিস ভারতের অন্যান্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে যাওয়া ৬৬৮৮টি কোম্পানির মধ্যে ১১০টি তাদের স্থানান্তরের সময় স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ছিল। ব্যবসার এই ব্যাপক যাত্রা তৃণমূল শাসনের অধীনে রাজ্যের শিল্প পরিবেশের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে। যদিও একসময় বাংলা উদ্যোগের কেন্দ্রস্থল ছিল, দুর্বল শাসনব্যবস্থা, নীতিগত অস্থিরতা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব কোম্পানিগুলিকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।’
বছরভিত্তিক কোম্পানির পলায়নের চিত্র তুলে ধরে অমিত মালব্য লিখেছেন,’২০১৫-১৬: ৮৬৯টি কোম্পানি চলে গেছে। ২০১৬-১৭: ৯১৮টি কোম্পানি এবং ২০১৭-১৮: ১০২৭টি কোম্পানি কোথায় গেল ?’ পশ্চিমবঙ্গ থেকে পালিয়ে অনান্য রাজ্যে যাওয়া কোম্পানিগুলির তালিকা অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘মহারাষ্ট্র – ১৩০৮টি কোম্পানি। দিল্লি – ১২৯৭টি কোম্পানি । উত্তরপ্রদেশ – ৮৭৯টি কোম্পানি । ছত্তিশগড় – ৫১১টি কোম্পানি। গুজরাট – ৪২৩টি কোম্পানি । রাজস্থান – ৩৩৩টি কোম্পানি । আসাম, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানাও শত শত কোম্পানিকে আকর্ষণ করেছে। এটি কেবল একটি সংখ্যা নয় – এটি পশ্চিমবঙ্গে চাকরি হারানো, অর্থনৈতিক পতন এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাসের প্রতিনিধিত্ব করে। এখন জিজ্ঞাসা করার সময় এসেছে: এই অর্থনৈতিক অভিবাসনের জন্য কে দায়ী ?’