এইদিন ওয়েবডেস্ক,বুরকিনা ফাসো,২৪ এপ্রিল : উত্তর বুরকিনা ফাসোয় (Burkina Faso) সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৬০ জন নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে । আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩০ জন । উয়াহিগুয়া শহরের পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রসিকিউটর লামিন কাবোরে বলেন, পবিত্র ঈদের আগের দিন শুক্রবার মালির সীমান্তবর্তী কারমা গ্রামে হামলাটি হয় । বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে সন্ত্রাসবাদীরা সেনার পোশাক পরে গ্রামে এসেছিল । মানুষের উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর পর গ্রামে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসবাদীরা । তিনি জানান, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । তাদের চিকিৎসা চলছে ।
সন্ত্রাসবাদী হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেছেন যে মোটরবাইক ও পিক-আপ ট্রাকে ১০০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদী গ্রামে হামলা চালিয়েছিল এবং কয়েক ডজন প্রৌঢ় ও যুবককে সামরিক ইউনিফর্ম পরা ওই সমস্ত সন্ত্রাসবাদীরা হত্যা করে । তবে তারা মৃতের সংখ্যা প্রায় ৮০ জন বলে উল্লেখ করেছে ।
প্রসঙ্গত,২০১২ সালে মালিতে শুরু হওয়া আঞ্চলিক অস্থিরতার সূযোগে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী গুলি বুরকিনা ফাসোর প্রায় ৪০ শতাংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে । তখন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তুয়ারেগ বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ হাইজ্যাক করেছিল। বুরকিনা ফাসোর সামরিক শাসকরা এই মাসে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সাথে যুক্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির কাছে হারানো অঞ্চল পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে একটি “সাধারণ সংহতি” ঘোষণা করেছে । আর তারপর থেকে নাশকতা আরও জোরদার করে ওই সমস্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুল । এর আগে গত সপ্তাহে কারমা গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে আওরেমা গ্রামের কাছে সন্ত্রাসবাদী হামলায় ৩৪ জন প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক এবং ৬ জন সৈন্য নিহত হয় ।
এদিকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ১৮ বছরের বেশি বয়সের যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বুরকিনা ফাসোর সামরিক শাসকরা । একটি ডিক্রিতে বলা হয়েছে যে ১৮ বছরের বেশি বয়সী এবং শারীরিকভাবে সুস্থ সকলকেই প্রয়োজন অনুসারে সেনাবাহিনীতে তালিকাভুক্ত করার জন্য ডাকা হবে । ত্রাণ গোষ্ঠীর মতে,বুরকিনা ফাসোতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় এযাবৎ ১০,০০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে ।।