এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওয়াশিংটন,২৪ মার্চ : কাশ্মীর উপত্যকার যুব নেতা মীর জুনায়েদ এবং তৌসিফ রায়না ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়ন, শান্তি এবং তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রের বিস্তার সম্পর্কে কথা বলতে ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় প্রেসক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, শান্তি এবং সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করতে কাশ্মীর উপত্যকার যুব নেতারা ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় প্রেসক্লাবে জড়ো হয়েছেন । ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ উপত্যকা থেকে মীর জুনায়েদ এবং তৌসিফ রায়নাকে ‘কাশ্মীর – অশান্তি থেকে রূপান্তর’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে । কিন্তু বৃহস্পতিবার ‘কাশ্মীর : অশান্তি থেকে পরিবর্তন’ শীর্ষক আলোচনায় বারবার বাধা দেওয়ার কারনে জম্মু-কাশ্মীরে ৬ বিচ্ছিন্নতাবাদী সমর্থককে প্রেস ক্লাব থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় । বিচ্ছিন্নতাবাদী সমর্থকদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার সময় জুনায়েদ বলেন,’আজ তোমাদের আসল চেহারা সবাই দেখছে । আমরা কাশ্মীরে যা দেখেছি, আজ আমরা ওয়াশিংটনে দেখেছি এবং এই মানুষগুলো কতটা ভয়ঙ্কর আর অসভ্য তা বিশ্বকে দেখানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ।’
কলামিস্ট সে হুন কিম দ্বারা সঞ্চালিত ওই আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে মীর জুনায়েদ বলেন,’আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে কাশ্মীর শান্তি, সমৃদ্ধির দেশ হিসাবে পুনর্জন্ম পেয়েছে এবং জম্মু ও কাশ্মীর বেশ কয়েকটি পরিবর্তন দেখেছে যা এটিকে একটি নতুন রাজ্যে রূপান্তরিত করেছে । বর্তমান জম্মু-কাশ্মীরকে একটি ‘উন্নয়নশীল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি ।
পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে জুনায়েদ বলেন, আমাদের এখন বিতর্কিত বক্তব্যের বাইরে তাকাতে হবে। যে দেশগুলো বিশ্বকে বোকা বানানোর জন্য গ্লোবাল ফোরামে ঢোল পেটায়,তারা কাশ্মীরের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির সাথে কোনো সম্পর্ক রাখে না। স্বীকার করুন যে কাশ্মীর তাদের জন্য একটি অস্তিত্বের সমস্যা এবং তাই তারা কাশ্মীরে সহিংসতার আগুন জ্বলিয়ে রাখতে চায় । কাশ্মীরিরা দেশের আইনের, দেশের শাসনের মুখোমুখি হচ্ছে
। যার ফলে কাশ্মীরে হুরিয়েত কনফারেন্সের মত সংগঠনগুলি ভেঙে পড়েছে ।
কাশ্মীরি হুরিয়ত নেতাকে জেলে পাঠানোর বিষয়ে একটি প্রশ্নের উত্তরে জুনায়েদ বলেন,’তারা (হুররিয়াত নেতারা) তাদের ভুলের কারণে জেলে আছেন। তারা তাদের স্বার্থ ও সুবিধার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে । তারা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছিল। তারা সন্ত্রাসবাদকে মহিমান্বিত করছিল। তিনি তার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য জেলে আছেন। যুদ্ধাপরাধের দায়ে তিনি কারাগারে আছেন ।’
সেই সময় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জুনায়েদকে থামিয়ে আলোচনায় বাধা দেয় । একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী চিৎকার করে বলেন, “আপনার লজ্জা পাওয়া উচিত ।” যদিও নিরাপত্তা কর্মীরা ওই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলে । এরপর তারা মেজাজ হারিয়ে গালিগালাজ শুরু করে । শেষে তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় । বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে তৌসিফ রায়না বলেন,’পাকিস্তান-স্পন্সরড বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এত বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে একই কাজ করে আসছে ।’ প্রসঙ্গত,জম্মু ও কাশ্মীর ওয়ার্কার্স পার্টির (জেকেডব্লিউপি) সভাপতি মীর জুনায়েদ । তিনি কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আইন স্নাতক এবং একজন লেখক ।।