এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরাখণ্ড,০১ আগস্ট : উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে একই পরিবারের ৩ সদস্যসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে । আহত হয়েছে বহু মানুষ । বুধবার সন্ধ্যা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রবল বর্ষণের ফলে প্রচুর এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রচুর বাড়িঘর ধসে পড়েছে । রাজ্যের অনেক নদীতে জলস্তর বেড়েছে । চামোলি জেলার দেবচৌলিতে, একটি বাড়ি ধসে একজন মহিলা এবং একটি শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে । রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) একটি দল ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় মুষলধারে বৃষ্টিতে হরিদ্বারের খরখারি এলাকায় সুখী নদীর তীরে দাঁড় করিয়ে রাখা প্রায় এক ডজন চার চাকার গাড়ি ভেসে গেছে। খরখারিতে, কানওয়ারিয়াদের একটি দলের জন্য রেশন এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনকারী একটি ট্রাক জলের তোড়ে ভেসে গেছে । তবে বুধবার ওই ঘটনার সময় ট্রাকে কেউ ছিল না ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ), এসডিআরএফ এবং প্রশাসনের দলগুলি রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে । দুর্যোগ সচিব বিনোদ কুমার সুমন বলেছেন, পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর পড়ার কারণে এবং ভীমবালি চৌকির কাছে ২০-২৫ মিটার ফুটপাথ ভেসে যাওয়ায় কেদারনাথ রুটে আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ।
পুলিশ জানিয়েছে, হরিদ্বার জেলার বহদারাবাদ এলাকার ভরপুর গ্রামে, প্রবল বৃষ্টির কারণে একটি বাড়ি ধসে তিনজন নিহত এবং অনেক আহত হয়েছে।এক পরিবারের তিন সদস্য – ভানু প্রসাদ (৫০), তার স্ত্রী নীলম দেবী (৪৫) এবং ছেলে ভিপিন (২৮) – তেহরি জেলার ঘানসালি এলাকার জাখানিয়ালি গ্রামে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভূমিধসে নিহত হয়েছেন । তেহরি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিক ব্রিজেশ ভাট জানিয়েছেন,ভিপিনকে উদ্ধার করা হয়েছিল কিন্তু ঋষিকেশের এইমসে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয় । হরিদ্বারের অনেক এলাকায় রাস্তা তলিয়ে গেছে এবং বৃষ্টির জল কানখাল থানাতেও ঢুকেছে। ভূপাতওয়ালা, হরিদ্বার, নয়া হরিদ্বার, কানখাল এবং জ্বালাপুরের বহু কলোনি ও বাজারও প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে পিথোরাগড় জেলার তাল্লা গ্রামে একটি বাড়ি ধসে পড়েছে। গ্রামের আরও তিনটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি ঘটনায় কোনো মানুষের প্রাণহানি হয়নি বলে জানিয়েছে প্রশাসন ।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং ত্রাণ ও উদ্ধার ব্যবস্থার বিস্তারিত খবর নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর জারি করা নির্দেশ অনুসারে, জেলা প্রশাসন, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ -এর দলগুলি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ধামি জনগণকে শুধুমাত্র প্রয়োজন হলেই তাদের বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।তিনি বলেছিলেন,’রাজ্যে আগত মানুষ এবং দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ।’।