এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেল আবিব,২৫ অক্টোবর : কাতারের অর্থায়নে পরিচালিত মিডিয়া আউটলেট ‘আল জাজিরা’র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ দীর্ঘ দিন ধরে উঠছে । এবারে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স ‘আল জাজিরা’র এমন ৬ সাংবাদিকদের নাম প্রকাশ্যে এনেছে যারা আদপে ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) কুখ্যাত সন্ত্রাসী । এই সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের নাম আনাস জামাল মাহমুদ আল-শরিফ, আলা আবদুল আজিজ মুহাম্মদ সালামা, হোসাম বাসসাল আবদুল করিম শাবাত, আশরাফ সামি আহসুর সেরাজ, ইসমাইল ফরিদ মুহাম্মদ আবু আমার এবং তালাল মাহমুদ আবদুল রহমান আরুকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ৬ সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের ছবি প্রকাশ্যে এনে আইডিএফ এক্স-এ লিখেছে,’আল জাজিরার সাংবাদিকদের হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী হিসেবে তথ্য সামনে এসেছে । আইডিএফ গোয়েন্দা তথ্য এবং গাজায় পাওয়া অসংখ্য নথি প্রকাশ করেছে যা গাজার ছয় আল জাজিরা সাংবাদিকের হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সামরিক যোগসূত্র নিশ্চিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কর্মীদের টেবিল, সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কোর্সের তালিকা, ফোন ডিরেক্টরি এবং সন্ত্রাসীদের বেতনের নথি। এই নথিগুলি কাতারি আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কের মধ্যে হামাস সন্ত্রাসীদের একীকরণের প্রমাণ হিসাবে কাজ করে। আইডিএফ যেসব সাংবাদিককে হামাসের সামরিক শাখার অপারেটিভ হিসেবে প্রকাশ করেছে তাদের বেশিরভাগই আল জাজিরাতে, বিশেষ করে উত্তর গাজায় হামাসের পক্ষে প্রচারের নেতৃত্ব দেয়।’
আইডিএফ বলেছে যে তাদের নথিগুলি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে সাংবাদিকরা হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের নিজ নিজ সশস্ত্র শাখার সদস্য ।আইডিএফ জানিয়েছে যে আনাস আল-শরিফ একটি রকেট লঞ্চিং স্কোয়াডের প্রধান এবং হামাসের নুসিরাত ব্যাটালিয়নের নুখবা ফোর্স কোম্পানিতে একজন সন্ত্রাসী ছিল। যেখানে আলা সালামা ইসলামিক জিহাদের শাবুরা ব্যাটালিয়নের প্রচার ইউনিট দেখাশোনা করত। শাবাত হামাসের বেইত হানুন ব্যাটালিয়নের একজন স্নাইপার এবং আশরাফ সারাজ ইসলামিক জিহাদের বুরিজ ব্যাটালিয়নের একজন সন্ত্রাসী ছিল ।
আবু আমার খান ইউনিস ব্যাটালিয়নে ট্রেনিং কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে কাজ করত । আরেক সাংবাদিক আব্দুল রহমান আরুকি হামাসের নুসিরাত ব্যাটালিয়নের টিম কমান্ডার ছিল।। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে আহত হন আল জাজিরার সাংবাদিক ইসমাইল আবু আমর।
ইসরায়েলি অভিযানে যখন আল জাজিরা আহত হয়েছিল, তখন আল জাজিরা দাবি করেছিল যে তার সাংবাদিকের সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এখন আইডিএফ এ সংক্রান্ত নথি পেয়েছে। আল জাজিরা ইসরায়েল সম্পর্কে ক্রমাগত অপপ্রচার চালাচ্ছে। আল জাজিরা চলতি বছরের মে মাসে, বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার হামাসের প্রচার চালানোর জন্য ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়। গত সেপ্টেম্বরে, ইসরায়েলি সরকার ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে রামাল্লায় আল জাজিরা ব্যুরোও বন্ধ করে দেয়।।