নাম – রিজওয়ানা বেগম,নিকাহ – সেলিম (করাচি, পাকিস্তান), তাদের ৭ সন্তান রয়ে গেছে ভারতে । রিজওয়ানা ৮ বছর আগে করাচির সেলিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কিন্তু তিনি ভারতে তার ৭ সন্তানের জন্ম দেন যাতে তিনি মোদীর দেওয়া সমস্ত উপহারের সুবিধা পেতে পারেন। রিজওয়ানা দুবার হালালা করেছিলেন যার জন্য তিনি পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। তার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকেরা রিজওয়ানার সাথে দেখা করার অজুহাতে বারবার ভারতে আসতে থাকে। এটা কি আশ্চর্যজনক নয়… পাকিস্তানে নিকাহ, পাকিস্তানেও হালালা, ভারতে নাগরিকত্ব ? হ্যাঁ, ভারত সরকার পাকিস্তানীদের ভিসা বাতিল করার পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য অবধি আসছে । এখন সেই সমস্ত মহিলাদের পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার বললে শিশুসন্তানদের এগিয়ে দিয়ে ইমোশনাল ব্লাকমেলিং করতে শুরু করেছে ।
কিন্তু এমনও মহিলা রয়েছেন যার ৩৫ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল পাকিস্তানে এবং এত বছর ধরে তিনি ভারতেই বসবাস করছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল যে যখন এই মহিলারা সেখানে বিয়ে করে, তাহলে কেন তারা সেখানে থাকে না? ভারতীয় নথিও কি পরিবর্তন হয় না ? বিক্রম প্রতাপ সিং নামে এক এক্স ব্যবহারকারীর কথায়, ৮৩,০০০ মুসলিম মহিলা পাকিস্তানিদের সাথে বিবাহিত এবং ভারতে সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। এটি জনসংখ্যার পরিবর্তনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কৌশল। এটি অবশ্যই যত্নবান হতে হবে। পাকিস্তানিদের সাথে বিবাহিত সকলের নাগরিকত্ব বাতিল করুন। অন্যথায় আমাদের প্রজন্ম নিরাপদ নয়।
এই বিষয়টাকে ভারতের জন্য বিপদ সঙ্কেত হিসাবে দেখছেন অশ্বিনী উপাধ্যায় । তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন,যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা খুবই ভয়ঙ্কর এবং খতরনাক । ৫,০০,০০০ মহিলা পাকিস্তানি পুরুষকে বিয়ে করে ভারতেই থেকে গেছে । আর সেই সমস্ত মহিলা যারা ভারতীয় থেকে গেছে তাদের কারোর ৮ বাচ্ছা, কারোর ৯ বাচ্ছা,কারোর ছটা বাচ্চা, পাঁচটা বাচ্চার নিচে কারোর নেই । এমনকি ১০-১২ বাচ্ছা আছে এমন পরিবারেরও সন্ধান পাওয়া গেছে৷ যদি গড়ে পাঁচ বাচ্চা ধরা হয় তাহলে পাঁচ লাখ মহিলার ২৫ লাখ বাচ্চা ভারতে রয়ে গেছে । যাদের বাবা পাকিস্তানি । বাচ্ছারা এখন ছোট নয়, বড় হয়ে গেছে । তাদের বিয়েও হয়ে গেছে ।’ তিনি বলেন,’যার অর্থ পাঁচ লাখ ভারতীয় মহিলা পাকিস্তানিকে বিয়ে করেছে। তাদের ২৫ লাখ বাচ্চা ভারতের রয়ে গেছে । সেইসব মহিলা মা, ঠাকুমাও হয়ে গেছে । এটা বিরাট বড় বিপদ সংকেত ।’
অশ্বিনী উপাধ্যায়ের প্রশ্ন হল,’প্রশ্ন এটাই যে এসব ঘটনা আরব, দুবাই, কুয়েতে কেন হয় না ? কখনো শুনেছেন আরব, দুবাই, কুয়েতের কোন মহিলা ভারতে বিয়ে করেছেন এবং তার বাচ্চারা সেখানেই বড় হচ্ছে ? কখনো আপনি শুনেছেন আমেরিকা,সিঙ্গাপুর, জাপান অথবা চীনের কোন মহিলা ভারতে বিয়ে করেছে আর সেই মহিলা সেখানকার নাগরিকত্ব রেখে দিয়েছে ? শুনতে পাবেন না । কিন্তু ভারতে এটাই হয়েছে । পাঁচ লাখ মহিলা, তাদের ২৫ লাখ সন্তান, তাদের পঁচিশ লাখ নাতিপুতি ভারতেই রয়ে গেছে । ভারতের এটা বর্তমান অবস্থা ।’
তিনি বলেন,’কেন হয়েছে ? কারণ আমাদের ফর্মাল অ্যাক্ট ১৯৪৬ চলছিল,যদিও এখন সেটা বদল হয়ে গেছে । এটা ছিল একটা নিকৃষ্ট আইন । অনুপ্রবেশের মূল কারণ ছিল এই আইন, আর এই সমস্যার মূল কারণও এই আইন ৷ এই আইন এখন বদলে গেছে৷ ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট এসে গেছে । চলতি বছরের সংসদের অধিবেশনে এসেছে । কিন্তু এই আইনও নতুন বোতলে পুরনো মদের মত । এতে তেমন কঠোর সাজার ব্যবস্থা নাই যেমন সিঙ্গাপুর, জাপান, আমেরিকা,রুশ এবং চীনে আছে ।’
অশ্বিনীবাবু বলেন,’কিন্তু ভারতের এই অরাজকতার মূল কারণ কি ? মূল কারণ হলো আমরা আমরা ভগবান শ্রী রামের তো পূজা করি কিন্তু রামনীতি আমরা লাগু করিনি । ভগবান শ্রীরাম বলেছিলেন, ‘ভয় বিন হোয়ে না প্রীত’ । আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করি, কিন্তু কৃষ্ণনীতি লাভ করি না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘শঠে শাঠ্যম সমাচরেৎ’ । আমাদের পূর্বপুরুষরা বলতেন, ‘লোহা লোহাকে কাটে’ । কিন্তু তাদের এই সিদ্ধান্তের অনুসারে আমরা নিয়মকানুন তৈরি করিনি । তার পরিণতি হল পাঁচলাখ মহিলা পাকিস্তানিকে বিয়ে করে ২৫ লাখ সন্তানের জন্ম দিয়ে দিল এবং তাদের ২৫ লাখ নাতিপুতিও হয়ে গেল ।’
এই সমস্যার সমাধানের কথাও বলেছেন ওই আইনজীবী ৷ তিনি বলেন,’এর সমাধান কি ? পূর্বপুরুষদের কথা অনুযায়ী চলা । সর্বপ্রথম ভারতীয় ন্যায় সংহিতাকে বদল করতে হবে । এতে অন্তত চার থেকে পাঁচটা অধ্যায় যোগ করতে হবে । অফেন্স রিলেটেড টু ইনফিলট্রেশন,অফেন্স রিলেটেড টু ইললিগ্যাল ইমিগ্রেশন, অফেন্স রিলেটেড টু চিটিং ফ্রড ফোর্জারি এবং অফেন্স রিলেটেড টু ফেক ডকুমেন্টস এই চার অধ্যায় এতে সংযুক্ত করতে হবে। আরে এতে মিথ্যাচারীতাকে ভয়ঙ্কর অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে । যতক্ষণ না পর্যন্ত মিথ্যাচারিতা কে ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে দেখা না হবে, আর মিথ্যা ধরতে নারকো পলিগ্রাফ টেস্ট করা না হবে ততদিন ভারতে অরাজকতা চলবে, অপরাধ কমবে না । ভারত দিনের পর দিন অসুরক্ষিত হবে এবং একদিন আমাদের হাতের বাইরে চলে যাবে । যেমন আমাদের হাত থেকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ বেরিয়ে গেছে৷ কাশ্মীর বেরিয়ে গেছে । পশ্চিমবঙ্গও আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে চলেছে । সমাধান এটাই , “শঠে শাঠ্যম সমাচরেৎ, ভয়বিন হোয়ে না প্রীত” ।।