এইদিন ওয়েবডেস্ক,খারগোন(মধ্যপ্রদেশ),২২ এপ্রিল : মধ্যপ্রদেশের খারগোনে ইবরেশ খান (Ibresh Khan) হত্যাকাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ । খারগোন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত এসপি রোহিত কাশওয়ানি বৃহস্পতিবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন,’ইবরেশ খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । ধৃতদের নাম সন্দীপ, দিলীপ, অজয়, দীপক এবং অজয় কর্মা । ধৃতরা খারগোনের আনন্দ নগর এবং রহিমপুরা এলাকার বাসিন্দা এবং তারা অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে ।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ধর্মীয় উন্মাদনার কারনেই খুন হয়েছেন ওই যুবক । এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে । তবে ভিকটিম এবং অভিযুক্তের মধ্যে পূর্বের কোনো শত্রুতা ছিল না বলে জানা গেছে ।’ তিনি জানিয়েছেন,এই ঘটনায় আরও তিন অভিযুক্ত রয়েছে । তবে তারা পলাতক । তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে ।
গত ১০ এপ্রিল খারগোন শহরে রাম নবমীর মিছিলের সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন পেশায় স্যানিটেশন কর্মী ইবরেশ খান । পরের দিন অর্থাৎ গত ১১ মে
খারগোনের আনন্দ নগর থেকে ইবরেশের মৃতদেহ উদ্ধার হয় । তবে তখন মৃতের পরিচয় জানতে না পারায় এবং খারগোনে ফ্রিজারের সুবিধা না থাকায় দেহটি ইন্দোরের একটি সরকারি হাসপাতালে আট দিনের জন্য রাখা হয়েছিল । ১৪ এপ্রিল নিখোঁজ ডাইরি করেছিল মৃতের পরিবার । রবিবার মৃতদেহ সনাক্ত করার পর পরিবারকে হস্তান্তর করা হয় । পুলিশ জানিয়েছে, পাথরের আঘাতে মাথায় গুরুতর চোটের কারনেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের ।
পাশাপাশি খারগোনে সাম্প্রদায়িক হিংসার অন্যতম অভিযুক্ত সেজু ওরফে ফিরোজ পানওয়ালা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ইন্দোরের চন্দন নগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সেজুকে । তার বিরুদ্ধে মানুষকে হিংসায় প্ররোচিত করা এবং পাথর মারতে উৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে । ধৃতের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএ) অধীনে মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি রোহিত কাশওয়ানি । এদিকে খারগোনের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল ।।