এইদিন ওয়েবডেস্ক,আঙ্কারা,০৭ ফেব্রুয়ারী : সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে । লেবানন, সাইপ্রাস, গ্রীস, ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছিল । এর ৯ ঘন্টা পর ৭.৫ মাত্রার আফটার শক অনুভূত হয় তুরস্ক ও সিরিয়ায় । পরপর জোড়া ভূমিকম্পে ওই দুই দেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । ভূমিকম্পের ফলে এযাবৎ অন্তত ৪,৩০০ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও কয়ে হাজার মানুষ । হাজার হাজার ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ।বাসিন্দাদের দ্বারা ভরা ৫,৬০৬ টি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনগুলির মধ্যে অনেকগুলি ভেঙে গেছে । বাকিগুলির অবস্থা জরাজীর্ণ। আলেপ্পোতে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের ক্ষতি হয়েছে ।
যদিও বিশ্বের এই অংশে ভূমিকম্প অস্বাভাবিক নয়, তবুও কয়েক দশকের মধ্যে তুরস্কে আঘাত হানার সবচেয়ে বড় এবং মারাত্মক ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে । দক্ষিণ-পূর্ব তুর্কি শহর কাহরামানমারাসের ২৩ বছর বয়সী সাংবাদিক মেলিসা সালমান বলেছেন, ‘এই প্রথম আমরা এমন একটি ভয়ানক, ভয়ঙ্কর, মারাত্মক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি ।’ সিরিয়ার জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ এটিকে ‘তুরস্কের ইতিহাসে রেকর্ড করা বৃহত্তম ভূমিকম্প’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, প্রাথমিক ভূমিকম্পটি তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫০ মাইল দূরে, স্থানীয় সময় ভোর ৪.১৭ মিনিটে দক্ষিণ তুর্কি শহর গাজিয়ানটেপে আঘাত হানে। দ্বিতীয় ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানটেপ থেকে প্রায় ৮০ মাইল উত্তরে মাটির ৬ মাইল গভীরে । এটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে আঘাত হানে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরী ব্যবস্থাপনা সংস্থা (AFAD) অনুসারে দক্ষিণ তুরস্কে কমপক্ষে ১২০ টি আফটারশক হয়েছে ।
তুরস্কে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ডজনখানেক দেশ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে । এদিকে তুরস্কের উদ্দেশ্যে পাঠানো ভারতের এনডিআরএফ রিলিফ ফ্লাইট-এর জন্য আকাশ সীমা ব্যবহার করতে দিল না পাকিস্থান । ফলে মঙ্গলবার ভোর ৩.০৯ নাগাদ হিন্দন এয়ারবেস থেকে দীর্ঘ পথে তুরস্কে পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফ্লাইটটি ।।