এইদিন ওয়েবডেস্ক,পটুয়াখালী,১৭ জানুয়ারী : ১২ বছরের কিশোরীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছিল ৪০ বছরের ব্যক্তি । মেয়েটির উপর পাশবিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে মৃতদেহটি পাচারের উদ্দেশ্যে একটি খালের জলের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল সে । শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নিজের অপরাধ কবুল করে । পরে তার দেখানো জায়গা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ । নিহত কিশোরীর নাম স্বপ্না । বাংলাদেশের পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নে তার বাড়ি । অন্যদিকে ধর্ষণকারী পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দা রেজাউল বলে জানিয়েছে স্থানীয় গলাচিপা থানার পুলিশ ।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার । ওইদিন সকালে বাড়ির পাশের বিলে কলাই তুলতে গিয়েছিল স্বপ্না । সেই সময় একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে রেজাউল । তারপর কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মৃতদেহটি পাশের একটি খালের জলে ফেলে দিয়ে পালিয়ে আসে সে । এদিকে অনেকে খোঁজাখুঁজি করেও কিশোরীর কোনো সন্ধান না পেয়ে স্থানীয় গলাচিপা থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার । প্রাথমিক সন্দেহের ভিত্তিতে রবিবার রাত্রি ৮ টা নাগাদ ইউনিয়নের চরগোস্তী গ্রাম থেকে রেজাউলকে আটক করে পুলিশ ।
গলাচিপা থানার ওসি শোনিক কুমার গায়েন সোমবার জানিয়েছেন,জেরায় নিজের দোষ কবুল করে রেজাউল । তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ওইদিন রাতেই চরকাজল ইউনিয়নের ছোট শিবা গ্রামের একটি খাল থেকে মেয়েটির মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে । ধৃতের বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রজু করে আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন ।।
১২ বছরের স্বপ্নাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ খালে ফেলে দিল ৪০ বছরের রেজাউল
