এইদিন ওয়েবডেস্ক,আহমেদাবাদ,২০ মে : গুজরাটের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে কুখ্যাত ৪ জন ইসলামি স্টেট(আইএসআইএস) সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করল গুজরাট সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) । ধৃত সন্ত্রাসীদের নাম মুহম্মদ নুসরাথ, মুহম্মদ নাফরান,মুহম্মদ ফারিস ও মুহম্মদ রাসদিন । এটিএস-এর জারি করা একটি সংক্ষিপ্ত নোটে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হওয়া চার সন্ত্রাসী শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসী বলে জানানো হয়েছে । এটিএস প্রধান বিকাশ সহায় জানিয়েছেন যে ধৃত সন্ত্রাসীরা ইসলামিক স্টেটের উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসী । পাকিস্তানি হ্যান্ডলার আবু বকর বাগদাদির নির্দেশে ভারতে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য এসেছিল । তাদের নিশানায় ছিল ভারতে বসবাসকারী ইহুদি ও খ্রিস্টান নাগরিক এবং বিজেপি ও আরএসএস-এর নেতারা । ধৃত সন্ত্রাসীদের ফোন থেকে ৫ টি সন্দেহজনক ছবি পাওয়া গেছে । ছবির অবস্থানে অস্ত্র নেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানি হ্যান্ডলার । তিনি আরও জানান, মোহাম্মদ নুসরাথ নামে সন্ত্রাসীর কাছে পাকিস্তানের বৈধ ভিসা রয়েছে। এই সন্ত্রাসবাদীরা সবাই শ্রীলঙ্কার উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন ন্যাশনাল তাইহিথ জামাতের সদস্য। যা ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এরা সবাই ইসলামি স্টেটেত সদস্য হওয়ার শপথও নেয় । পাকিস্তানের প্রধান এই সব আসামিকে ৪ লাখ শ্রীলঙ্কা টাকা দিয়েছে বলে জানান তিনি ।
সাংবাদিক সম্মেলনে ডিজিপি বলেন, ১৯ ও ২০ মে বিমান ও রেলপথে এই সন্ত্রাসীদের আসার খবর পাওয়া গেছে। বিমানবন্দরে তার আগেই সাদা পোশাকে পুলিশ অপেক্ষা করছিল । ওই চার সন্ত্রাসী বিমান থেকে নামতেই তাদের বিমানবন্দর থেকে তুলে নেওয়া হয়। ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে চেন্নাই থেকে আহমেদাবাদে এসেছিল সন্ত্রাসীরা। তারা ১৯ তারিখে ভোর রাত ৩ টায় শ্রীলঙ্কা থেকে চেন্নাই পৌঁছায় ।
জানা গেছে, মোহাম্মদ নুসরাথের একটি মোবাইল ফোনের মেসেজে জানা গেছে তারা নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট আইএস-এর নাশকতার পথ অনুসরণ করতে, আবু বকর বাগদাদির দেখানো পথ অনুসরণ করতে এবং ইহুদি ও খ্রিস্টান এবং বিজেপি ও আরএসএস-এর সদস্যদের হত্যা করার লক্ষ্য নিয়ে ভারতে এসেছিল ।
এর আগে গত বছরের আগস্ট মাসে গুজরাট সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড রাজকোটে আল কায়েদার সাথে সম্পর্কযুক্ত তিনজনকে সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারা ওই নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবকদের উসকানি দিয়ে নিয়োগের জন্য একজন বাংলাদেশি হ্যান্ডলারের হয়ে কাজ করছিল বলে জানা গেছে ।।