এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২৩ অক্টোবর : দুর্গোৎসবের মাঝেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটা কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে । আর এই ডাকাতির নেপথ্যে রয়েছে ৪ মুসলিম কিশোর । সাফি,হামজা, আরিফ ও সাওন নামে ওই চার কিশোর মন্দিরের দানবাক্সের সমস্ত টাকাপয়সা ও মন্দিরের কাঁসা পিতলের যাবতীয় সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় । যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে ওই ৪ কিশোরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ ।
জানা গেছে, ঢাকার ডেমরার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাড়াডগার এলাকার পাড়াডগার শ্মশান কালী মন্দিরে চুরির ঘটনাটি ঘটেছে । দূর্গাপূজো চলাকালীন এই চুরির ঘটনাটি ঘটে । মহাসপ্তমীর দিন সকালে পুরোহিত দেবীর নিত্যসেবার পূজো করতে গিয়ে দেখেন দানবাক্স ভাঙা এবং টাকা পয়সা উধাও হয়ে গেছে । মন্দিরের পিতলের ঘন্টাটাও নেই । এরপর মন্দিরের ভিতরে ঢুকতেই দেখেন দেবীর নিত্যসেবার জন্য রাখা কাঁসা পিতলের যাবতীয় বাসনপত্র নিয়ে পালিয়েছে দূষ্কৃতীরা । এমনকি কাঁসরটিও নিয়ে পালিয়ে গেছে । এরপর স্থানীয় থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মন্দির কর্তৃপক্ষ ।
জানা যায়,অভিযোগ পাওয়ার পর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে চার কিশোরের মধ্যে অপেক্ষাকৃত লম্বা সাফিকে প্রথমে চিহ্নিত করে পুলিশ । তাকে পাকড়াও করতেই পুলিশ বাকি তিন কিশোর হামজা, আরিফ ও সাওনের নাম জানতে পারে । পুলিশের জেরায় তারা কবুল করে যে মন্দিরের পাশে একটা দোকানে রাখা রড ধরে প্রথমে মন্দিরে ঢোকে সাফি । এরপর হামজা ও আরিফ একে একে মন্দিরে ঢোকে । সেই সময় বাইরে পাহাড়া দিচ্ছিল আরিফ। মন্দিরে চুরির পর ওই চারজন পালিয়ে যায় ।
ডেমরা জেলার সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জানিয়েছেন,ধৃতদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে । তাদের জেরা করে জানা গেছে যে নভেম্বর মাসে তাদের পিকনিক আছে । ৩০০০ টাকা করে চাঁদা পড়েছিল । সেই টাকা জোগাড় করার জন্য তারা সপ্তাহ খানেক আগে পাড়াডগার শ্মশান মন্দিরে চুরির পরিকল্পনা করেছিল । তিনি বলেন,’ধৃতরা ভেবেছিল মন্দিরের দানবাক্সে প্রচুর টাকা আছে । কিন্তু চুরির পর দেখে মাত্র ৮ হাজার টাকা রয়েছে । তারা চারজনে ২ হাজার করে ভাগ করে নেয় ।
পরের দিন মন্দির থেকে চুরি করে আনা কাসা পিতলের সামগ্রী বিক্রি করে তারা জলখাবার খায় ও গাড়ির ভাড়া মেটায় ।’ ধৃত চার কিশোরের বিরুদ্ধে যথাযথ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন ।।