এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,০৯ অক্টোবর : জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটায় বন্যা কবলিত মানুষদের খোঁজ নিতে গিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতকারীদের হাতে আক্রান্ত হন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ । দু’জনেই মাটিগাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । তবে শঙ্কর ঘোষকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও খগেন মুর্মু এখনো চিকিৎসাধীন । এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে । পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতরা হল আকরামুল হক, গোবিন্দ শর্মা, শাহানুর আলম ও তোফায়েল হোসেন।
এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দলীয় সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলাকারী “তৃণমূলের বিশেষ সম্প্রদায়ের উগ্র চরমপন্থী”দের মধ্যে ৪ জনের নাম প্রকাশ্যে আনেন । তারা হল : রমজান আলী,সৈফুল হক,আইনুল আনসারি ও পিঙ্কি খাতুন । যদিও তাদের এখনো গ্রেপ্তারির কোনো খবর নেই ।
গত ৬ তারিখ ডুয়ার্সের নাগরাকাটার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাদের ঘিরে ধরে ধাক্কাধাক্কির পাশাপাশি ইঁটপাটকেলের পাশাপাশি জুতো ছোড়ে । শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ,সেই সময় পুলিশ তাদের রক্ষা করার পরিবর্তে উন্মত্ত জনতার হাতে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় । আর তখনই একটা বোল্ডার সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথা লক্ষ্য করে ছোড়া হয়৷ সেটি খগেন মুর্মুর বাম দিকের চোখের নিচে আঘাত । এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন শঙ্কর ঘোষ । নিজেও ভর্তি হন । সাংসদের মুখের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে । এখনো তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনাতেই বুধবার প্রথমে আকরামুল হক এবং গোবিন্দ শর্মা নামে দুজনকে।গ্রেপ্তার করে নাগরাকাটা থানার পুলিশ। এরপর রাতের দিকে শাহানুর আলম এবং তোফায়েল হোসেন নামে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে বলে খবর। ফলে সাংসদ-বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। এই মামলায় মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রজু হয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে,বাকিদের সন্ধান চলছে ।।

