এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাকিস্থান,২৫ আগস্ট : বিগত ২ সপ্তাহ ধরে পাকিস্থানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় বন্যা পরিস্থিতি চলছে । দুই এলাকা মিলে এযাবৎ ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে । মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে । পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ৬ শিশুসহ ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ)। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে ।অন্যদিকে পাঞ্জাবের রেসকিউ ১১২২ জানিয়েছে, পাহাড়ি ঝড়ের কারণে ডেরা গাজি খানে একজন এবং রাজনপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে ।
বন্যায় বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সিন্ধু মহাসড়কে খোলা আকাশের নিচে কাটাচ্ছে । আপার দিরের কসাই শাহী কোটে বন্যায় ডুবে ৫ স্কুল শিশুর মৃত্যু হয়েছে । উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিশুরা স্কুল থেকে ফেরার সময় জলে ভেসে যায় । উদ্ধার অভিযানের পর ৪ শিশুর দেহ পাওয়া গেলেও পঞ্চম শিশু এখনো নিখোঁজ ।
সমরবাগের জাঙ্গিয়ান গ্রামে নদীতে ডুবে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে । আপার দিরের গুন্ডিগড়ে ভারী বর্ষণের কারণে একটি দুকামরার বাড়ি ধসে পড়েছে । যদিও বরাত জোরে প্রাণ বাঁচে বাড়ির বাসিন্দাদের । মিঙ্গোরার একটি স্কুল প্লাবিত হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে । স্কুলের শত শত পড়ুয়াদের উদ্ধার অভিযানে নেমেছে স্থানীয় লোকজন, রেসকিউ ১১২২ এবং সিভিল ডিফেন্স দল । মালাকান্দ বিভাগের কমিশনার শওকত আলী ইউসুফজাই বলেছেন,’খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খানের নির্দেশে সমস্ত বিভাগ সক্রিয়ভাবে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, জল কমার পরে ত্রাণ সরবরাহ শুরু হবে । মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সমস্ত ব্যবস্থা তদারকি করছেন ।’
এদিকে ডেরা গাজি খানের একটি বড় অংশ জলমগ্ন হয়েছে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে । শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । বিদ্যুৎ দপ্তরের পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ভারি বর্ষণে ওই এলাকায় ৬৪০টি ট্রান্সফরমার, ১,৫৭৫টি সিঙ্গেল ফেজ মিটার এবং ১৪৫টি থ্রি-ফেজ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । ডেরা গাজী খানের এমএপিসিও সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ হাসনাইন শাকিল বলেন, ‘এমএপিসিও সার্কেলের ২১ টি মহকুমা-এর মধ্যে ফোর্ট মুনরো, রোজান এবং টোবি কায়সরানী এলাকা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে । ওয়াহওয়া ও পিক এলাকা ৭৫ শতাংশ জলের তলায় । তলিয়ে গেছে
শাদান লন্ড, দুজল, রাজনপুর, শাহ সদর দীন ও কোয়েটা রোড প্রভৃতি এলাকাগুলি ।’।