এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ জুন : জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) কলকাতার কসবা থেকে তিন আইসিস সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা তিনজনই আইটি কর্মী হিসেবে কাজ করত। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, এলাকায় স্লিপার সেল সক্রিয় করার লক্ষ্যে জাল নথি ব্যবহার করে তিনজন কলকাতার কসবায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, এই তিনজন সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথেও যোগাযোগ রাখছিল- এমনই দাবি করা হয়েছে হিন্দি মিডিয়া আউটলেট ওপি ইন্ডিয়ায় । যদিও কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে যে এটা সসম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,কর্মকর্তারা তাদের ঘর থেকে ডিজিটাল ডিভাইস, জাল পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য উপকরণ বাজেয়াপ্ত করেছেন । গ্রেপ্তারের পর, তিনজনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শহর থেকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, তিনজনকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত,মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের উপর নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জি প্রশ্ন তোলেন কেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে ? সন্ত্রাসবাদ রুখতে রাজ্য পুলিশের ব্যর্থতাকে তিনি দায়ি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,’কলকাতার কসবা এলাকায়, তিনজন সন্ত্রাসবাদী আইটি পেশাদার হিসাবে একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছিল-গোপনে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের সাথে সমন্বয় যোগাযোগ করছিল। সৌভাগ্যবশত, এনআইএ এবং দিল্লি পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করে। কিন্তু আরও বড় প্রশ্ন থেকে যায় কেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে? কীভাবে রাজ্য পুলিশ সব সময় শেষ পর্যন্ত জানতে পারে না?
তিনি আরও লিখেছেন,’বেশ কয়েকটি এলাকায়, সন্ত্রাসবাদীরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় জাল আধার এবং ভোটার আইডি কার্ড মজুদ করতে সক্ষম হচ্ছে। কীভাবে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে এই ধরনের বিপজ্জনক দেশবিরোধী অভিযানের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি? রাজ্য সরকারের উদ্বেগজনক নীরবতা একটা ঘৃণ্য অপরাধের মতোই সমান ।’
এদিকে কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে,ভুয়া সংবাদ সতর্কতা ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিদ্বেষপূর্ণ দাবি প্রচার করা হচ্ছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, আইটি কর্মীর ছদ্মবেশে তিনজন আইসিস-সম্পর্কিত সন্ত্রাসীকে এনআইএ কলকাতার কসবা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।এই ধরনের ভুল তথ্য কেবল ভিত্তিহীন নয় বরং অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক তৈরি এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হয়। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমরা জনসাধারণকে যাচাই না করা বিষয়বস্তু ফরোয়ার্ড বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।।

