দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৪ জানুয়ারী : সরকারি প্রকল্পে পানীয় জল সরবরাহার জন্য মাটির নিচে পাইপ বসানোর কাজ চলছিল । কাজের বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা বেশ কিছু পাইপ রাস্তার ধারে ফেলে রেখে দিয়েছিল । সেই সুযোগে ৫ লক্ষধিক টাকার পাইপ লরিতে চাপিয়ে চম্পট দিয়েছিল একটি চক্র । পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার করুই গ্রামের ওই ঘটনার পর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে । আটক করা হয়েছে ওই লরিটি । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম আলমগীর সাহু, সাজাহান শেখ এবং সেলিম শেখ । ধৃতদের মধ্যে সাজাহান শেখ লরির মালিক এবং লরির চালক হল আলমগীর সাহু । সেলিম শেখ ওই ওই সংস্থার শ্রমিক সর্দার । আজ ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতের তোলা হলে পুলিশের আবেদন ক্রমে তিনজনকেই ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতের অনুমতি দেন বিচারক ।
জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের তরফে কাটোয়ার করুই গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের কাজ চলছে । একটি সংস্থাকে ওই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে । কাজের তদারকের দায়িত্বে রয়েছেন পূর্বস্থলীর বাসিন্দার জনৈক এক ব্যক্তি । করুই গ্রামের শিবপুকুর মোড় থেকে শিবপুকুর পাড় পর্যন্ত রাস্তার পাশে খাল করে ৪৯ টি ডিআই পাইপ ফেলে রাখা হয়েছিল । কিন্তু পাইপ গুলি মাটির নিচে বসানোর আগেই চুরি হয়ে যায় । যেগুলির মূল্য পাঁচ লক্ষাধিক টাকা । এই ঘটনায় বিজয়চাঁদ চৌধুরী নামে এক ঠিকাদার কাটোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তের নামে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ ঘটিয়ে দেখলে পুলিশ জানতে পারে যে পাইপ গুলিকে একটি ১০ চাকার লরির করে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এরপর ওই লরির নম্বর ধরে সন্ধান শুরু করে পুলিশ । শেষে মুর্শিদাবাদ জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে ওই লরিটি আটক করা হয় । গ্রেফতার করা হয় লরির মালিক সাজাহান শেখ ও চালক আলমগীর সাহুকে । গত ১৭ জানুয়ারী তাদের আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতের নেওয়ার পর পুলিশ জেরা করতেই শ্রমিক সর্দার মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা সেলিম শেখের নাম জানতে পারে । মঙ্গলবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ।
এই চক্রে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে এবং চুরি যাওয়া পাইপগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।।