এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুমিল্লা,০৯ ফেব্রুয়ারী : বাংলাদেশের মাদ্রাসায় ফের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে । কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সাধুর কলমিয়ায় তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক মাদরাসায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোহম্মদ ইব্রাহিম নামে ২৪ বছরের এক সমকামী শিক্ষকের বিরুদ্ধে । শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । সে ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার নুরপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।বুধবার বিকেলে তাকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয় ।
জানা গেছে,নির্যাতিত শিশুর বাবা মারা গেছে । এদিকে তার মা দ্বিতীয় বিয়ে করায় শিশুটি তার দাদুর কাছেই থাকে । ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ ফেব্রুয়ারী । ওইদিন সকাল ১০টার দিকে ছাত্রদের বিশ্রামের সময় মোহম্মদ ইব্রাহিম শিশুটিকে নিজের শোবার ঘরে ডেকে নিয়ে যায় । সেখানে সে শিশুটির উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় ৷ এমনকি ঘটনার কথা কাউকে বললে সে ওই ছাত্রটিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেয় ।
জানা যায়,মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যায় এবং দাদুর কাছে সে শিক্ষকের কুকীর্তির কথা খুলে বলে । পরিবারের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার মুহতামিম ক্বারী সাইফুল ইসলামকে জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি । এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওইদিন রাতে স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । এই ঘটনায় শিশুটির দাদু মীর হোসেন স্থানীয় লালমাই থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,এর আগেও ওই মাদ্রাসায় বলাৎকার সহ শিশু নির্যাতনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে ৷ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম এসব অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন বলে বারবার এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় বলে অভিযোগ তাদের । এমনকি তারা সাইফুল ইসলামের চরিত্র নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের মামলায় একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে জেলহাজতের নির্দেশ দেন । নির্যাতিত শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।।