এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,০৯ আগস্ট : ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রত্যক্ষ মদত দেওয়ায় এখন ইরানের জাত শত্রু হয়ে গেছে ইরান । এবার ইরান থেকে উঠল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার আওয়াজ । ইরানের ২০০০ জনেরও বেশি ধর্মগুরু, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও রয়েছেন,তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার ফতোয়া জারি করে বলেছেন যে ধর্মীয়ভাবে ট্রাম্পকে হত্যা বৈধ ৷
শুক্রবার ইরানের তেহরানে কোম মাদ্রাসার প্রেস অফিস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিপ্লবী সংযম ও ধৈর্যের যুগের অবসান ঘটেছে এবং এখন থেকে ট্রাম্পের রক্ত ও সম্পদ হালাল এবং সোলাইমানির রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া প্রতিটি মুসলিম এবং স্বাধীনতাপ্রেমী পুরুষ ও মহিলার জন্য ফরজ । এই বর্বর অপরাধীর রক্ত এবং সম্পত্তি হালাল ।” আরও বলা হয়েছে, “মুসলিম সম্প্রদায় চুপ করে থাকবে না। প্রতিশোধ আসছে ।”
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন তেহরানের জুমার নামাজের ইমাম আহমদ খাতামি, এক্সপিডিয়েন্সি কাউন্সিলের সদস্য মোহসেন আরাকী এবং গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সদস্য মেহেদী শাবজেনদার – সকলেই সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির দ্বারা নিযুক্ত । এছাড়াও ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সহ-সভাপতি এবং গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সদস্য আলীরেজা আরাফিও ওই ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছেন ।
আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি বলেন,’যেকোনো সরকার বা ব্যক্তি ইসলামী উম্মাহর (জাতি) নেতাদের হুমকি দিচ্ছে এবং সেই হুমকির উপর কাজ করছে, সে একজন মোহারেব (ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যোদ্ধা) হিসেবে যোগ্য।’ উল্লেখ্য,শিয়া আইনশাস্ত্রের অধীনে, মোহরেব ঘোষণা এবং ফতোয়া জারি ধর্মপ্রাণ শিয়া মুসলমানদের জন্য ধর্মীয়ভাবে বাধ্যতামূলক । এর আগে ‘দ্য স্যাটনিক ভার্সেস’-এর রচয়িতা সলমন খুরশিদের মৃত্যুর ফতোয়া জারি করেছিলেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মগুরু খোমিনি । তবে সলমন খুরশিদকে হত্যা না করতে পারলেও তার একটা চোখ নষ্ট করে দিয়েছে একজন জিহাদি ।।