এইদিন ওয়েবডেস্ক,লিসবন,২৯ মার্চ : পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের একটি ইসমাইলি মুসলিম কেন্দ্রে ভয়ঙ্কর ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে । হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার । আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন । ইসমাইলি সম্প্রদায়ের নেতা নারজিম আহমেদ পর্তুগিজ টিভি চ্যানেল এসআইসিকে বলেছেন, নিহত দুজন মহিলা তার কেন্দ্রে কাজ করতেন । পুলিশের বিবৃতি অনুযায়ী, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ শিয়া মুসলিম কেন্দ্রে একটি বড় ছুরি হাতে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি হামলা চালায় । খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীর মুখোমুখি হয়ে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় । কিন্তু সে উলটে পুলিশের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে । তখন পুলিশ তার পায়ে গুলি করে । জানা যায়,গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ হামলাকারীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় । প্রাথমিক চিকিৎসার পর পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে । এদিকে ছুরি হামলার ঘটনায় সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী কাজ হিসাবে তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারী দল ।
যদিও হামলার প্রতিক্রিয়ায় পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বলেছিলেন যে এটি একটি অপরাধমূলক কাজ। সব কিছুই ইঙ্গিত করে যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ।’ তবে তিনি বলেন,এই মুহুর্তে অপরাধ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। অভিযুক্ত হামলাকারীর পরিচয়ও জানা যায়নি । প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন যে হামলার তদন্ত চলছে ।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ইসমাইলি মুসলিম কেন্দ্রটি ১৯৯৮ সালে বিশ্বের ইসমাইলীদের আধ্যাত্মিক নেতা প্রিন্স করিম আগা খান দ্বারা খোলা হয়েছিল। সেখানে শিয়া মুসলিমদের জন্য প্রার্থনা হল, শ্রেণীকক্ষ, মিটিং রুম এবং প্রদর্শনী স্থান রয়েছে। ইসমাইলি মুসলিম সম্প্রদায় বিশ্বের ২৫ টিরও বেশি দেশে বসবাস করছে । তবে ইউরোপ মহাদেশের মধ্যে পর্তুগালে ইসমাইলীদের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি । ইসমাইলি মুসলিমদের উপর সুন্নি মুসলিমদের আক্রমণের ঘটনা নতুন নয় । এর আগে পাকিস্তানে ইসমাইলীদের ওপর বহুবার হামলা হয়েছে । লিসবনের ইসমাইলি মুসলিম কেন্দ্রে ছুরি হামলায় অভিযুক্ত অপেক্ষাকৃত অল্পবয়সী এবং ইউরোপীয় সহযোগিতা পরিকল্পনার অধীনে পর্তুগালে পাঠানো হয়েছিল তাকে । হামলাকারীর স্ত্রী গ্রিসের একটি শরণার্থী শিবিরে মারা গিয়েছিল বলে জানা গেছে ।।