এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাগদা(উত্তর চব্বিশ পরগণা), ০১ জানুয়ারী : বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ । প্রতিদিনই ধরা পড়ছে দু’চারজন করে অনুপ্রবেশকারী । কিন্তু ঠিক যে সংখ্যায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ছে, তার থেকে বহুগুণ অনুপ্রবেশকারী ভোটার কার্ড, আধার কার্ড তৈরি করে এরাজ্যে রীতিমত সংসার ফেঁদে বসবাস করছে বলে অভিযোগ । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’হিমশৈলের চুড়া মাত্র’ । আর,রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক হওয়া ওই অনুপ্রবেশকারীদের নিজ দেশে ফেরানোর বিষয়ে তাদের ঘোর আপত্তি বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি ।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়,’একটি একক অঞ্চল কীভাবে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং অকার্যকর ডিজিপি প্রায়ই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন। নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলেও। বিপরীতে, অন্যান্য রাজ্যগুলি দক্ষতার সাথে জাতির প্রতি তাদের কর্তব্য সম্পাদন করছে। ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতারা সম্ভবত এমন একটি পরিস্থিতির প্রত্যাশা করেননি যেখানে একটি রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তার কারণে সমগ্র দেশের নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে। তারা যদি এমন পরিস্থিতির পূর্বাভাস পেতেন, তাহলে তারা সংবিধানে এটি মোকাবেলার বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে পারতেন। এটি দায়বদ্ধতার আহ্বান এবং সমস্ত রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জরুরি প্রয়োজন ।’
যাই হোক,এদিকে ফের বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছে এরাজ্যে । বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকা ২ বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করল উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাগদা থানার পুলিশ । পুলিশ ধৃতদের
আজমিরা খাতুন ও শিরিনা খাতুন বলে চিহ্নিত করেছে । তাদের বাড়ি বাংলাদেশের যশোর জেলায় । আজ বুধবার সকালে বাগদার মাথাভাঙা এলাকা থেকে তাদের ধরে পুলিশ । প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে যে কয়েক মাস আগে ওই দুই মহিলা চোরাপথে ভারতে ঢুকেছিল। তারপর তারা মাথাভাঙা এলাকায় স্থানীয় সহানুভূতিশীল বাসিন্দাদের সহযোগিতায় বসবাস শুরু করে দেয় । পরিচারিকার কাজও জুটিয়ে ফেলে । কিন্তু এক আত্মীয়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে আজ সকালে তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার মতলব করেছিল । কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাদের আসল নাগরিকত্ব প্রকাশ্যে আসে । ধৃতদের আজ বনগাঁ মহাকুমা আদালতে পাঠিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে মালদা জেলার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে । ওই মহিলার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকে নাম, বাবার নাম সব বদলে ফেলে ভুয়া জন্ম শংসাপত্র তৈরি করে ভারতের ভোটার কার্ড, আধারকার্ড তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে । এমনকি শাসকদলের স্থানীয় নেতাদের কল্যাণে পঞ্চায়েতের প্রধান পর্যন্ত হয়ে গেছেন ওই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী । এনিয়ে মমতা ব্যানার্জি ও তার দলের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।।