এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২০ নভেম্বর : রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে করে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত দুই সন্ত্রাসবাদীকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীদল । পলাতক দুই সন্ত্রাসবাদী হল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম এবং লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব । তারা নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ।
মুক্তমনা ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশের অপরাধে জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক তথা প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে ২০২১ সালে ১০ ফেব্রুয়ারিতে ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত । সেই দলে রয়েছে পলাতক দুই সন্ত্রাসবাদী ৷
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি সন্ত্রাসবাদীরা হল মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের । আসামিদের প্রথম দু’জন পুলিশের খাতায় ফেরার ।
এদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই সন্ত্রাসবাদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার মামলায় ১০ আসামির ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত । রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হল শাহীন আলম ওরফে কামাল, শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন, বি এম মজিবুর রহমান, সুমন হোসেন পাটোয়ারী, আরাফাত রহমান, খাইরুল ইসলাম ওরফে সিফাত, মোজাম্মেল হোসেন, শেখ আব্দুল্লাহ, আ. সবুর এবং রশিদুন্নবী ভূঁইয়া ।
উল্লেখ্য,জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক ও প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন খুন হন ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর । ঢাকার শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের প্রকাশনীর নিজস্ব অফিসের মধ্যে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে সন্ত্রাসবাদীদের দল । ওইদিন বিকেলে নিহতের স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি মামলা রজু করেন । চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত এবং ১১ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে পুলিশ । ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় । ২০২১ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান ।।