শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),০৪ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকার পৃথক দুই গ্রামে একই দিনে আত্মঘাতী হলেন এক একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীসহ দু’জন । পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম সুমনা কর্মকার(১৭) ও কৃষ্ণ দাস (৩২) ৷ নিহতদের মধ্যে সুমনার বাড়ি মন্তেশ্বর গ্রামের হাটপাড়া এলাকায় । কৃষ্ণবাবু মন্তেশ্বর থানার গীদগ্রামের বাসিন্দা ।
জানা গেছে,মন্তেশ্বর গ্রামের হাটপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় কর্মকারের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে ছোট সুমনা । মেয়েটি মন্তেশ্বরে গার্লস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল । সঞ্জয়বাবু ও তাঁর ছেলে কর্মসূত্রে কেরালায় থাকেন । বাবা ও ছেলে দু’জনেই পেশায় পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন । বাড়িতে মেয়ে সুমনাকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন সঞ্জয়বাবুর স্ত্রী মালাদেবী ।
পরিবার সূত্রে খবর,শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৬ টা নাগাদ পাড়ার মুদিখানা দোকানে টুকিটাকি কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন মালাদেবী । বাড়িতে একাই ছিল সুমনা । সেই সুযোগে শোবার ঘরের দরজা ভেজিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে ওই কিশোরী । সন্ধ্যা নাগাদ তার মা ফিরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় । পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কিশোরীকে নামিয়ে মন্তেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । স্থানীয়দের অনুমান প্রেম ঘটিত কারনেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী । ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।
অন্যদিকে নিহত যুবক কৃষ্ণ দাস বিবাহিত । বাড়িতে রয়েছে মা, স্ত্রী শঙ্করী দাস এবং ছেলে রাজ দাস । কৃষ্ণবাবুর বাড়ি গীদগ্রামে হলেও তিনি স্বরগ্রামে পরিবার নিয়ে থাকতেন । পরিবার সূত্রে খবর, শ্বশুরবাড়িতে অশান্তির কারনে অধিকাংশ সময় বাপের বাড়িতেই থাকতেন শঙ্করীদেবী । এই কারনে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কৃষ্ণবাবু । শুক্রবার রাতে যথারীতি খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঘুমতে চলে যান তিনি । এরপর এদিন সকালে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন । শনিবার মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । দুই পৃথক অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করেছে পুলিশ ।।