দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৪ আগস্ট : করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ ২ মাস ধরে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানতে হল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের পরিযায়ী শ্রমিক শেখ খোকনকে (৩৫)। আজ শুক্রবার ভোরে উড়িষ্যার কটক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় । মৃতদেহটি গ্রামে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে ।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করোমন্ডল এক্সপ্রেস । দূর্ঘটনায় ২৬০ জনের অধিক যাত্রীর মৃত্যু হয় । আহত হয় কমপক্ষে ৯০০ জন । আহতদের মধ্যে ছিলেন ভাতার থানার ভাটাকুল গ্রামের বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি শেখ খোকন । তাঁর মাথায় ও কোমরে গুরুতর চোট লাগে । প্রথম দিকে ওড়িশার বালেশ্বরে এইমসে চিকিৎসা চলছিল তাঁর । কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কটক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । কিন্তু টানা প্রায় দু’মাস ধরে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হল খোকনকে ।
জানা গেছে,শেখ খোকনের বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও দুই নাবালক সন্তান । অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবার । ছিটেবেড়া দেওয়া দেওয়াল ও খড়ের ছাউনি দেওয়া একচিলতে ঘরে বসবাস ওই পরিবারটির । সংসার চালাতে চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন শেখ খোকন । কিন্তু কর্মস্থলে যাওয়ার সময় ট্রেন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি । পরিবারের লোকজন আশায় বুক বাঁধছিলেন যে সুস্থ হয়ে ফের বাড়ি ফিরে আসবেন খোকন । কিন্তু এদিন ফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামজুড়ে । এদিকে এই মৃত্যুর খবর পেতেই ভাটাকুল গ্রামে মৃতের বাড়িতে ছুটে যান ভাতারের বিধায়কসহ শাসকদলের নেতারা । বিধায়ক ওই হতদরিদ্র পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ।।