এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৯ এপ্রিল : গত ১৬ এপ্রিল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমামদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৈঠকটি ছিল নয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ সম্পর্কীয়৷ সেই বৈঠকে সর্বধর্ম সম্প্রীতির বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো । কিন্তু হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধি হিসাবে যে দু’জনকে উপস্থিত করানো হয়েছিল তাদের নিয়েই প্রশ্ন ওঠে । গেরুয়া বসন ও গলায় তুলসী মালা পরা ওই দুই ব্যক্তি কখনোই সন্নাসী হতে পারে না বলে মন্তব্য করছিলেন নেটিজেনরা । তাদের দাবি মমতা ব্যানার্জি ওই দুই ব্যক্তিকে হিন্দু সন্নাসী সাজিয়ে বৈঠকে নিয়ে গেছেন,আসলে ওরা ‘ভুয়া সন্নাসী’ । কারন মুর্শিদাবাদে যেভাবে হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক হিংসার শিকার হয়েছে তাতে কোনো হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের সন্ন্যাসী মুখ্যমন্ত্রীর ‘ইমাম বৈঠকে’ যোগ দেবেন না বলে মত তাদের । অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর ‘ইমাম বৈঠকে’ ওই দুই গেরুয়া বসনধারীর আসল পরিচয় ফাঁস করলে বিজেপির যুবনেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি ।
প্রমানসহ তরুনজ্যোতি এক্স-এ লিখেছেন,’কেউ চিনতে পারছেন এনাকে? গেরুয়া পোশাক পরিহিত একজন হলেন তৃণমূল কর্মী এবং আরেকজন হলেন হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে নব্য খ্রিস্টান এক ব্যক্তি। এই ছবির ছেলেটির নাম শ্রীধর মিশ্রা এবং মাইকেল অনুভব চক্রবর্তী। সে একজন ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান এবং সেকারণেই নামের আগে মাইকেল লিখে রেখেছেন।’
তিনি লিখেছেন,’সে একজন তৃণমূল কর্মী এবং অন্যজন ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান তৃণমূল কর্মী হতেই পারেন। আমার ব্যক্তিগতভাবে তাদের কিছু বলার নেই।
কিন্তু হিন্দুদের বিভ্রান্ত করতে গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করিয়ে এই সেদিন সনাতনী সন্ত সাজিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ইমাম মুজ্জয়েমদের সভায় হাজির করানো হয়েছিল কেন? এই সব ভাঁওতাবাজি কেন? প্রশ্ন এটাই, গেরুয়াবস্ত্র পরিধান করিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করতে ইমামদের মঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সভাতে ইনাদের পরিচয় পরিবর্তন করে হাজির করানো কেন হয়েছিল ?’
এরপর তিনি লিখেছেন,’একদিকে মালদার মোথাবাড়ি থেকে মুর্শিদাবাদের নওদা, সূতি, সামসেরগঞ্জ ও ধুলিয়ানে আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা, মার খাচ্ছে হিন্দুরা, জ্বলছে হিন্দুদের ঘর বাড়ি দোকান, খুন হচ্ছে হিন্দুরা,
অন্যদিকে, এভাবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হিন্দুদের বোকা বানানোর খেলা কেন খেলছে তৃণমূলের রাজ্য সরকার? এ বাঙালি হিন্দু আর কত অবমাননা সহ্য করবে ।’।
যদিও বিজেপি নেতার ওই দাবি এইদিন-এর পক্ষ থেকে যাচাই করা হয়নি ।