এইদিন ওয়েবডেস্ক,ধুবড়ি(আসাম),২১ মার্চ : উত্তর-পূর্ব ভারতের সংবেদনশীল এলাকা শিলিগুড়ি করিডর বা চিকেন নেকে বড়সড় নাশকতা চালানোর আগেই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেট বা আই এস আই এসের দুই সন্ত্রাসবাদীকে পাকড়াও করেছে অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির(এন আই এ) যৌথ বাহিনী । ধৃতদের নাম হরিস আজমল ফারুকি ও তার সাগরেদ রেহান । রেহান নিজের পরিচয় লুকতে অনুরাগ সিং নাম ব্যবহার করত । দেরাদুনের চাকরাটার বাসিন্দা আজমল ফারুকি একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী । সে ভারতের তিন শীর্ষ ইসলামি স্টেট নেতাদের মধ্যে অন্যতম । অন্যদিকে পানিপথের দিনওয়ানাতের বাসিন্দা রেহান আজমল ফারুকির ডানহাত বলে পরিচিত । তার শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশে । তারা দু’জন মিলে ভারতে আইএসআইএসে নিয়োগ, অস্ত্রশস্ত্র ও অর্থের যোগান দিত । এন আই এ তাদের দীর্ঘ দিন ধরে সন্ধান চালাচ্ছিল । কিন্তু ওই দুই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিল । নাশকতা চালানোর জন্য মিয়ানমার থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক ডেলিভারি নেওয়ার জন্য দিন তিনেক আগে কোচবিহার জেলা দিয়ে তারা ভারতে ঢোকে । সেই সমস্ত্র অস্ত্র ও বিস্ফোরক ডুয়ার্স ও কালিম্পংয়ের গোপন ডেরায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ।
এদিকে গোপন সূত্রে দুই সন্ত্রাসীর ভারতে ঢোকার খবর পেয়ে ধুবড়িতে হাই এলার্ট জারি করে দেওয়া হয় । মঙ্গলবার থেকে এসটিএফকে সাথে নিয়ে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় এন আই এ৷ শেষে বুধবার ভোরে ধুবড়ির একটা ধর্মশালা থেকে দুই সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করা হয় । ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু সন্ত্রাসী, অত্যাধুনিক অস্ত্র-কার্তুজ, সিম কার্ড ও স্মার্টফোন। অসম পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং বলেন,’ভারতে নাশকতার ছক কষছিল ওই সন্ত্রাসবাদীরা । এই ঘটনায় বাংলাদেশের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে ।’
ভারতে ইসলামি স্টেটের নাশকতার ষড়যন্ত্র দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে । গত ১৫ ও ১৭ মার্চ মণিপুরের টারো লামখাই ও চুড়াচন্দ্রপুর এলাকা থেকে প্রচুর পরিমানে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল এনআইএ । এখন ভারতে ইসলামি স্টেটের জাল কতদুর বিস্তৃত তা জানতে ধৃত দুই সন্ত্রাসবাদীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে সেনা, আসাম রাইফেলস ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ।।