এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৫ আগস্ট : অবিভাবকহীন এক ছোট্ট শিশুকন্যা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অসহায়ভাবে কান্নাকাটি করছিল । পথচলতি মানুষ দেখেও না দেখার ভান করে চলে যাচ্ছিলেন । কিন্তু দুই কলেজ ছাত্রী অনান্যদের মত দায় এড়িয়ে না চলে গিয়ে শিশুকন্যাটিকে কোলে তুলে নেন । প্রথমে আশপাশের লোকজনদের তারা জিজ্ঞাসা করে শিশুটির পরিচয় জানতে চান তারা । কিন্তু ব্যর্থ হয়ে শেষে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন । আজ রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া স্টেশন বাজারের কাছে কাটোয়া-পালিটা রোডের পাশে ওই অসহায় শিশুটিকে উদ্ধার করেছেন স্বাগতা সামন্ত ও রজত পটুয়া । স্বাগতা চন্দ্রপুর কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং রজত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া । এদিকে কাটোয়া থানার পুলিশ পুলিশকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শিশুটির ছবি পাঠিয়ে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করে । ঘন্টাদুয়েক পর শিশুটির পরিচয় জানতে পারা যায় । পরে ওই দম্পতি এসে থানা থেকে তাদের শিশুসন্তানকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান ।
জানা গেছে,শিশুটি কাটোয়া স্টেশনের কাছে পঞ্চবটি পাড়ার এক দম্পতির সন্তান । শিশুটির বাবা সফিকুল ইসলাম পেশায় মুটিয়া । মা আফসোনা বিবি গৃহবধূ। পরিচারিকার কাজ করেন । শিশুটির নাম আসমিন খাতুন । সফিকুল-আসমিনর তিন কন্যাসন্তানের মধ্যে মেজ আসমিন । প্রতিদিনের মত আজ সকালেও কাজে চলে যান সফিকুল । আফসোনা মেয়েদের বাড়িতে রেখে বাজারহাট করতে বেরিয়েছিলেন । কিন্তু মেজ আসমিন যে তার পিছু নিয়েছে তা তিনি লক্ষ্য করেননি । এদিকে মায়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাঁটতে না পেরে অনেক পিছিয়ে পড়ে শিশুটি । শেষে আর মাকে দেখতে না পেয়ে কাটোয়া স্টেশন বাজারের কাছে কাটোয়া-পালিটা রোডের পাশে কাঁদতে কাঁদতে সড়ক পথ পারাপার করার চেষ্টা করে সে । সৌভাগ্যবশত ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্বাগতা সামন্ত ও রজত পটুয়ার নজরে পড়ে যায় শিশুটি । একটা ব্যস্ততম সড়ক পথে শিশুটি পারাপার করতে গিয়ে যেকোনো সময় বিপদ ঘটে যেতে পারত বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ।।