এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখনউ,০৬ জানুয়ারী : লাগাতার ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অভিযোগ করতে আসা তরুণীকে অভিযুক্তকেই বিয়ে করার পরামর্শ দেয় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। গত বছর উত্তরপ্রদেশের কোতোয়ালিতে যে ঘটনা ঘটেছিল তা প্রকাশ্যে আসে যখন মেয়েটি আবার থানায় অভিযোগ জানাতে যায় । ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীকে ৩৫ বছর বয়সী সাজিদ আলী ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ।
এসপি মীনাক্ষী কাত্যায়ন পিটিআইকে বলেছেন যে সাজিদ মেয়েটির সাথে বন্ধুত্ব করে তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে । গত বছরের মার্চ মাসে বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় মেয়েটিকে সাজিদ আলী ধর্ষণ করে । অভিযুক্ত সেই অশ্লীল ভিডিও নিজের মোবাইল ক্যামেরায় রেকর্ড করে রেখেছিল । মেয়েটি থানায় অভিযোগ দায়ের করবে বলে জানালে সাজিদ সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় । হুমকির ভয়ে মেয়েটি তার বাবা-মাকেও জানায়নি। পরে সাজিদ তাকে লাগাতার ধর্ষণ করতে শুরু করে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবার চেপে ধরলে মেয়েটি সব কথা খুলে বলে ।
জানা গেছে,গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও মেয়েটি গর্ভবতী বলে অভিযুক্তকে বিয়ে করতে বাধ্য করে পুলিশ। এরপর সঠিক তদন্ত ছাড়াই নির্যাতিতার আপত্তি সত্ত্বেও সাজিদের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু অক্টোবরে মেয়েটি জানতে পারে সাজিদের আরেকটি স্ত্রী রয়েছে। এরপর নভেম্বর মাসে নির্যাতিতা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী ৩ জানুয়ারি সাজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সাজিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।।