এইদিন ওয়েবডেস্ক,কক্সবাজার,২৬ ডিসেম্বর : জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, নভেম্বরে নৌকায় করে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া অন্তত ১৮০ জন রোহিঙ্গার প্রায় এক মাস ধরে খাবার বা জল ছাড়া কাটানোর পর নৌকাডুবিতে মারা গেছে । নৌকাটি বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূল থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল । কিন্তু মাঝ সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকা পড়ে । ইউএনএইচসিআর রবিবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে,‘ব্যবহারের অনুপযোগী’ ওই নৌযানটি সম্ভবত ডুবে গেছে এবং আরোহীরা সবাই সাগরে তলিয়ে গেছে ।
মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের কারণে ২০১৭ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ কক্সবাজারের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে । তারপর থেকে শরণার্থীরা মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানোর জন্য বিপদজনক সমুদ্রযাত্রা করছে । কিন্তু নৌকা ডুবির কারনে প্রায়ই বেঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে নিরাশ্রয় রোহিঙ্গাদের । শুধুমাত্র চলতি বছরে বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে মৃত ও নিখোঁজদের সংখ্যা প্রায় ২০০-এর অধিক বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর ।
গত সপ্তাহেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গা অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থা জানিয়েছিল, ভারতের উপকূলের কাছে একটি নৌকায় থাকা অন্তত ২০ রোহিঙ্গা খাবার এবং জলের অভাবে মারা গেছে । ওই নৌকাটিতে থাকা প্রায় ১০০ জনের মধ্যে বাকি ৫৮ জন ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপে আশ্রয় নেয়। এছাড়া চলতি মাসের শুরুতেই শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী ভারত মহাসাগর থেকে ভাসমান অবস্থায় ১০৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে । মানবাধিকার কর্মী মোহম্মদ নুর খান লিটন সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন যে নভেম্বর মাসে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে তিন বা চারটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা কক্সবাজার উপকূল ছেড়ে যায় । ওই রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আশা করছে । কিন্তু বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বই স্বীকার করা হয় না । তাদের মিয়ানমারে অনুপ্রবেশকারী বলে আখ্যা দেওয়া হয় ।।