এইদিন ওয়েবডেস্ক,১৫ জুলাই : পাকিস্থানে ১৬ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তরিত করে মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল । পাকিস্থান পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন । ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্থানের সিন্ধু প্রদেশের নবাবশাহ এলাকায় । ঘটনার প্রতিবাদে জারদারি হাউসের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ । তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় । পাশাপাশি মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির হস্তক্ষেপের দাবি করে ।
জানা গেছে, অপহৃতা কিশোরীর নাম করিনা । তাকে কাজী আহমেদ শহরের অন্তর্গত উন্নার এলাকা থেকে সপ্তাহ খানেক আগে অপহরণ করা হয় । তারপর মেয়েটিকে জোর করে ধর্মান্তরিত করে মীর মোহাম্মদ জনো গ্রামের বাসিন্দা খলিল রহমান জনোর সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় । মেয়েটির বাবা সুন্দরমল এনিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগও দায়ের করে । কিন্তু পুলিশ বিষয়টি অপহরণ নয়,বরঞ্চ প্রেমঘটিত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ৷
আর তার প্রমাণ পাওয়া গেল নবাবশাহের এসএসপি আমির সৌদ মাগাসির কথায় । এসএসপি করিনাকে অপহরণের খবর উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন,ওই হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়নি । সে মীর মোহাম্মদ জনো গ্রামের বাসিন্দা খলিল রহমান জনোর সাথে নিজের ইচ্ছায় পালিয়ে গেছে । করাচির আদালতে তাকে বিয়ে করেছে ।
শুধু তাইই নয়, নবাবশাহের এসএসপি নিকাহনামা শেয়ার করে বিষয়টি প্রেমঘটিত বলে প্রমাণের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছেন । তবে তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে খলিলের বাবা আসগর জনোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । মেয়েটিকে সিন্ধু হাইকোর্টে তোলা হবে ।
এদিকে নবাবশাহের এসএসপি আমির সৌদ মাগাসির ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হিন্দু পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি লাজপত রাই । তাঁর অভিযোগ, এসএসপির সঙ্গে তাঁদের এক প্রতিনিধিদল দেখা করেছিল । ঘটনার কথা সবিস্তারে বলা হয় তাঁকে । জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে এফআইআরও করা হয়েছিল । তার পরেও কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি ।।